খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৬ জনকে উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলছে

৩ সপ্তাহ আগে
খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পড়ুয়া ৫ শিক্ষার্থীসহ ছয় জনকে উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে এ অভিযান শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র জানায়, অপহৃত চবির ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে উদ্ধারে সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার চবি’র ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে অপহরণের ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’


তিনি বলেন, ‘অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান চলছে। আমরা অপহৃতদের উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা করছি।’


প্রসঙ্গত, বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্য চবি শাখার নেতা রিশান চাকমাসহ ৫ শিক্ষার্থীসহ ৬ ছয় জনকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। রিশান চাকমা চবি’র আন্তজার্তিক সর্ম্পক বিভাগের শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: অস্ত্রের মুখে চবির ৫ শিক্ষার্থীকে অপহরণের অভিযোগ

অপহরণের শিকার অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের  দিব্যি চাকমা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং  চারুকলা বিভিগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-৩৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।


পার্বত্য চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমার সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি'র) সভাপতি নিপুন  ত্রিপুরা বলেন, ‘রিশান চাকমা আমাদের ছাত্র সংগঠনের চবি শাখার সদস্য। তারা গত মঙ্গলবার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে  সৈবাবি উৎসব শেষ করে খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বাসে টিকেট না পাওয়ায় মঙ্গলবার রাতে তারা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেছিল। সকাল ৭ টার গাড়িতে তাদের চট্টগ্রামে ফেরার কথা। কিন্তু গিরিফুল এলাকা থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী টমটম চালককেও অপহরণ করা হয়। এই ঘটনার জন্য আমরা ইউপিডিএফ (প্রসীত) কে দায়ী করছি। তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

আরও পড়ুন: কুমিল্লা মহাসড়ক অবরোধ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক

এদিকে  ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউপিডিএফের প্রসীত গ্রুপের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য হচ্ছে  অপহরণের সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের প্রতহিংসা পরায়ন রাজনীতি আমরা করি না। আমরা সবসময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের পক্ষে। কোনো মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। ’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন