খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পরিণত হয়েছে অবৈধ পার্কিং ও অস্থায়ী বাস স্ট্যান্ডে

৩ সপ্তাহ আগে
খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকার মধ্যে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুপাশের সড়ক এখন কার্যত অবৈধ পার্কিং ও অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ডে রূপ নিয়েছে। পৌরসভার নির্ধারিত বাস স্ট্যান্ডে পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে সড়কের দুপাশে দখল করে রেখেছে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও মালামালবাহী গাড়ি। ফলে ব্যস্ততম এই সড়কে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারী, যানবাহন চালক এবং সাধারণ সড়ক ব্যবহারকারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, খাগড়াছড়ির প্রবেশপথ থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বর্তমানে পরিবহণ সেক্টরের নিয়ন্ত্রণে। যেখানে পথচারীদের হাঁটা-চলার কথা, সেখানে দিনের পর দিন অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন। শুধু তাই নয়, শহরের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার, যার ফলে প্রধান সড়কজুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।


শহরজুড়ে বেড়েছে ব্যাটারিচালিত টমটমের চলাচল। এসব পরিবহনের নেই কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন, নেই ট্রাফিক শৃঙ্খলা। যত্রতত্র পার্কিং, ফুটপাত দখল এবং যানচলাচলে শৃঙ্খলার অভাবে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। সাধারণ মানুষ, পথচারী, শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিনের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।


এ বিষয়ে স্থানীয় পথচারী ও ভুক্তভোগীদের অনেকেই ট্রাফিক বিভাগের গাফিলতিকে দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ, যথাযথ নিয়ন্ত্রণের অভাবে দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।


গাড়িচালক ও পরিবহণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ড সম্প্রসারণ না হলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।


এ প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ি ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সুমন জাহিদ বলেন, 'প্রতিনিয়ত ট্রাফিক পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে, কিন্তু তারপরও যত্রতত্র অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা যাচ্ছে না। অধিকাংশ বাণিজ্যিক ভবনে পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান না থাকায় গাড়িগুলো সড়কে পার্ক করা হচ্ছে।'


আরও পড়ুন: মহাসড়কে পার্কিং করে রাখা ট্রাকের সঙ্গে ৪ বাসের সংঘর্ষ, আহত ৩০


এদিকে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরিফিন জুয়েল বলেন, 'সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, পার্কিং নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর জন্য নানা পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।'


খাগড়াছড়িকে যানজটমুক্ত শহরে পরিণত করার লক্ষ্যে একটি মাস্টারপ্ল্যান গ্রহণের কথা জানিয়ে পৌর প্রশাসক নাজমুল আরা সুলতানা বলেন, 'আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা বাস্তবায়ন হলে এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধান সম্ভব হবে।'


জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, 'খাগড়াছড়িকে একটি পর্যটন বান্ধব ও যানজটমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।'

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন