পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানগুলো গ্রামটির ওপর টানা ৮টি এলএস-৬ বোমা নিক্ষেপ করে। এর ফলে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ঘটে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।
আরও পড়ুন:পাকিস্তান-সৌদি চুক্তিতে অন্য আরব দেশগুলোও আসতে পারবে?
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ ঘটনায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তবে তাদের সঠিক অবস্থা জানা যায়নি।
এদিকে, হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) জঙ্গিরা এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
হামলার পর প্রকাশিত ভয়াবহ ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে- শিশুসহ নিহতদের মৃতদেহ চারপাশে ছড়িয়ে আছে। উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃতদেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খাইবার পখতুনখোয়ায় অতীতে বহু সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানে অসংখ্য বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন। এ বছরের জুনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে বলে, এ প্রদেশে বারবার চালানো ড্রোন হামলা পাকিস্তানের বেসামরিক জনগণের জীবনের প্রতি গভীর অবহেলার ইঙ্গিত দেয়।
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশের মতে, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে প্রদেশে ৬০৫টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কমপক্ষে ১৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৭৯ জন পাকিস্তানি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শুধুমাত্র আগস্ট মাসেই ১২৯টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে ছয়জন পাকিস্তানি সেনা এবং আধাসামরিক ফেডারেল কনস্টেবলের সদস্য নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:আমরা শত্রু থাকব না ভালো প্রতিবেশী হব তা ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: শেহবাজ
]]>