নতুন মোড়কে আয়োজিত হওয়া এই আসরের বাজেট আকাশছোঁয়া। কেবল প্রাইজমানির জন্যই ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে ফিফা। ৫২৫ মিলিয়ন ডলার পার্টিসিপেশন মানি হিসেবে দেওয়া হবে অংশগ্রহণকারী ৩২ ক্লাবকে। অবশ্য পার্টিসিপেশন মানি হিসেবে ক্লাবগুলো সমান অর্থ পাচ্ছে না। ক্লাবগুলোর ক্রীড়া ও বাণিজ্যিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে যা চূড়ান্ত করেছে ফিফা। যেখানে সর্বোচ্চ অর্থ পাবে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলো। বাকি ৪৭৫ মিলিয়ন ডলার পারফরম্যান্স হিসেবে।
২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা প্রাইজমানি হিসেবে পেয়েছিল ৪২ মিলিয়ন ডলার। ক্লাব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন তাদের প্রায় তিন গুণ অর্থ পেতে যাচ্ছে। সংখ্যাটা ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি।
টুর্নামেন্ট বিশাল বাজেটের হলেও এটাকে মোটেও সুনজরে দেখছেন না লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাজ। সুনজরে দেখা কী, এটা বাতিল করার জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টকে অভিহিত করেছেন ফুটবলের জন্য হুমকি হিসেবেও।
আরও পড়ুন: মৌসুমজুড়ে সর্বোচ্চ সেভ দেয়া গোলরক্ষককে কিনল বার্সেলোনা
গোলডটকম জানিয়েছে, ফুটবল ইন্ড্রাস্ট্রির এক ইভেন্টে তেবাজকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ফিফা কীভাবে এই টুর্নামেন্ট পুনর্গঠিক করতে পারে। লা লিগা সভাপতি বলেন, ‘এটাকে বাদ দিয়ে। আমার লক্ষ্য হলো, এটা যাতে আর না হতে পারে সেটা নিশ্চিত করা। বিষয়টি খুবই পরিষ্কার।’
এত এত টুর্নামেন্টের পরও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপকে সম্প্রসারিত করার বিষয়টি পছন্দ হয়নি তেবাজের, এর জন্য ফুটবলের ইকো সিস্টেম নষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি। তেবাজ বলেন, ‘আর কোনো টুর্নামেন্ট প্রয়োজন নেই তো, যেটা একটা সেক্টর থেকে অর্থ সরিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে যাবে। আমাদের ইকো সিস্টেম রক্ষা করে চলতে হবে। আগে যেমন ছিল, তেমনটাই করুন।’