ক্রিকেটে বাংলাদেশ মিডিওকার, অ্যাভারেজ। এমন কঠিন সত্য আগেই মেনে নিয়েছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। তারপরও সাম্প্রতিক সময়ের ভরাডুবি, সামর্থ্যের চেয়ে প্রশ্ন তুলছে ড্রেসিং রুমের পরিবেশ নিয়ে।
সিরিজ চলাকালীন অধিনায়ক পরিবর্তন, নেতৃত্ব ছাড়ার মতো ঘটনা সে অস্থিরতার বড় প্রমাণ। মাঠের পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়ছে। ড্রেসিং রুম যে স্থিতিশীল নয়, সে কথা স্বীকার করলেন বিসিবি পরিচালক নিজেই।
বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেন, 'খেলোয়াড়রা অতিরিক্ত চাপে থাকে। কিসের জন্য চাপে থাকে তা আমি জানিনা। তবে আপনি যদি বেশি চাপে থাকেন তাহলে আপনি তো সাধারণ ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। কিছু মনোভাব আছে যা দলে প্রভাব ফেলে। এগুলো করলে কিন্তু আপনার দল দিনের পর দিন নেগেটিভ দিকেই যাবে।'
আরও পড়ুন: রিশাদকে না খেলানোর ব্যাখ্যা দিলেন মিরাজ
পারফরম্যান্সের অধঃপতন এমন জায়গায় নেমেছে, যে পৃষ্ঠপোষকদের আগ্রহেও ভাটা পড়েছে। ক'দিন বাদেই পাকিস্তান সিরিজ, কারা সম্প্রচার করবে তা এখনও খুঁজে পায়নি বিসিবি। দর্শকদের আগ্রহ কমছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাকে ঘিরে। ক্রিকেট বোর্ডও এসব টের পাচ্ছে। খোঁজ একজন আইকন ক্রিকেটারের।
আকরাম খান বলেন, 'যদি পারফর্ম না করেন তাহলে তো দলে তার প্রভাব পড়বেই। এটা এখন না হোক পড়ে হোক। একটা দেশে কিন্তু আইকন (খেলোয়াড়) খুবই দরকার। ফুটবলে হামজা এসেছে, যখন ক্রিকেটে মাশরাফী, সাকিবরা ছিল তখন কিন্তু দলও ভালো পারফর্ম করেছে। বড় বড় খেলোয়াড়রা কিন্তু বেশিরভাগ ম্যাচে পারফর্ম করে, যেটা আমাদের কেউ করতে পারছে না।'
এদিকে, ভারতের বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে যাওয়ায় আগস্টে ফাঁকা সূচি টাইগারদের। জাতীয় দলের জন্য এখনও বিকল্প খুঁজে পায়নি বিসিবি। আন্তর্জাতিক সিরিজ না হলে, ঘরোয়া ক্রিকেটেই ভরসা রাখবে নীতিনির্ধারকরা। যার শুরুটা হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে।
আকরাম খান বলেন, 'বিদেশি দল আসা না আসা নিয়ে আমাদের টুর্নামেন্টে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা ওইভাবে জাচ্ছি...আমরা (এনসিএল) শুরু করব সেপ্টেম্বরে। এরপর আবার বিপিএল হবে, এরপর এনসিএল হবে। আর এরপর বিসিএল হবে।'
আগামী ১৬ জুলাই তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান।