ক্রিকেট শুধু খেলা নয়, খেলোয়াড়দের রুটি-রুজির মাধ্যম: মিঠুন

নানা আলোচনা-সমালোচনা সঙ্গী করে চলতি মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে বিসিবির সে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ২১ জন প্রার্থী। পরবর্তীতে নির্বাচন না পেছালে দেশের সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দেয় ক্লাবগুলোর একাংশ।

ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন হয়েছে পূর্বনির্ধারিত তারিখেই। যে কারণে নিজেদের অবস্থানে এখনো অনড় ক্লাবগুলো। যার ফলে সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো মাঠে গড়াচ্ছে না তৃতীয় বিভাগ লিগ। যে কারণে বয়কট করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসেনে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন। 

 

অক্টোবরের দুই সপ্তাহ ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো মাঠে গড়ায়নি তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ। কবে নাগাদ শুরু হবে এই লিগ, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসও (সিসিডিএম) সে ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। প্রথম বিভাগ কিংবা দ্বিতীয় বিভাগ কবে শুরু হবে, তারও নেই কোনো নিশ্চয়তা। তাছাড়া আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হতে যাওয়া ডিপিএল নিয়েও আছে শঙ্কা। 

 

আরও পড়ুন: জোসেফ-ব্লেডসের বদলি হিসেবে উইন্ডিজ স্কোয়াডে আকিল-সিমন্ডস

 

লিগ বর্জন করা ৪৮ ক্লাবের মধ্যে আছে আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শাইনপুকুরের মতো বড় ক্লাবগুলো। বিসিবি ও ক্লাবের এমন জটিলতায় অনিশ্চয়তায় পড়েছে ক্রিকেটাররা। কারণ লিগের মাস চারেক বাকি থাকলেও ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি কোনো ক্লাব। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের জন্য এগিয়ে এসেছে কোয়াব। 

 

কোয়াবের সভাপতি মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আমরা আজ (১৯ অক্টোবর) বসেছিলাম, ২ ঘণ্টার বেশী আলোচনা হয়েছে। ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের চিন্তাই আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি ছিল। তাদের আমরা অনেক খানি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে ক্রিকেট বন্ধ হওয়া যাবে না, অনেকের রুটি-রুজির ব্যাপার আছে।’ 

 

জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে এই ডিপিএল। তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাই থেকে শুরু করে ডিপিএল খেলা ক্রিকেটারদের উপর নির্ভর করে প্রায় হাজার দুয়েক পরিবার। 

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার চার ক্যাচ ছাড়ার দিন ভালো অবস্থায় পাকিস্তান

 

ডিপিএলে খেলা ক্রিকেটাররা অবশ্য ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট না হলেও বিপিএল, এনসিএল, এনসিএল টি-টোয়েন্টির মতো টুর্নামেন্ট খেলে পরিবার চালাতে পারেন। তবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে খেলা ক্রিকেটারদের অবশ্য অন্য কোনো বিকল্প নেই। 

 

আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালও। তাকে নিয়েই সভায় বসেছিলেন মিঠুন। বিসিবি নির্বাচন থেকে নাম সরিয়ে নেয়া তামিম নিজেও ক্রিকেটারদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন। মিঠুন বলেন , ‘তামিম ভাই এখানে একটা বড় ভূমিকা পালন করেছেন, উনি সবার সাথে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছেন। ৮০ ভাগ মানুষ আমাদের পক্ষে মত দিয়েছেন শেষ পর্যন্ত। কয়েকজনকে এখনও রাজি করাতে পারিনি, আশা করি তারাও মেনে নিবেন।’ 

 

মিঠুন আরও বলেন, ‘দিনশেষে ক্রিকেটরই জয় হবে। আমাদের ভেতর আরও আলোচনা হবে, আরও কয়েকবার বসব আমরা। তবে এখন পর্যন্ত আশাবাদী যে সব ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে।’

]]>