কোলকাতায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ধর্মঘট তুলে নেয়া হলো

৪ সপ্তাহ আগে
কলকাতায় একজন সহকর্মীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে শুরু হওয়া ১৭ দিন ধরে চলা অনশন ধর্মঘট সোমবার প্রত্যাহার করেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। তারা বলেন, মৃত মেয়েটির বাবা-মায়ের অনুরোধে তারা এমন পদক্ষেপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা বিরোধী নেতৃত্বাধীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথেও দেখা করেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে যৌন অপরাধের তদন্ত নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা তাকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আরও ভালো সুরক্ষা এবং নারীদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবিতে চাপ দেয়।   গত ৯ আগস্ট শহরের আর জি কর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ওই নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চিকিৎসকদের মুখপাত্র ডাঃ দেবাশীষ হালদার বলেন, “তারা (ভুক্তভোগীর বাবা-মা) অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি অচল স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই স্বাস্থ্যসেবা শত শত সাধারণ নাগরিককে প্রভাবিত করেছে।” ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী অনেকে মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানান, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপধ্যায় তাদের সাথে দেখা করে অধিকাংশ দাবিতেই রাজি হন। চিকিৎসকরা বলছেন, ভারতের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের জন্য বিশ্রামাগার, নিরাপত্তা কর্মী এবং ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরার (সিসিটিভি) মতো মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নেই। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছে, তবে জুনিয়র ডাক্তাররা বলছেন যে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। রয়টার্স জানায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এই ধরনের অপরাধের জন্য নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনে ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করছে। রাজ্য সরকার ২০১৯ সালে ডাক্তারদের আরও ভালো সুরক্ষা ব্যবস্থা দেয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১২ সালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক নারীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর নারীদের সুরক্ষায় কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু অধিকার কর্মীরা বলছেন, নারীরা এখনো যৌন নিপীড়নের শিকার হন।
সম্পূর্ণ পড়ুন