নীলফামারী সদর উপজেলা ও আশপাশের উপজেলাগুলোর কামারপল্লি ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ সামনে রেখে দিন-রাত টুংটাং শব্দে সরব হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো। সারা বছরই কর্মচাঞ্চল্য থাকলেও কোরবানির মৌসুমে বাড়তি ব্যস্ততা লক্ষ করা যাচ্ছে।
জানা গেছে, নীলফামারীর ছয়টি উপজেলায় অন্তত দুই শতাধিক কামারের দোকানে সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। ঈদের অন্তত এক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন কামাররা। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে পুরানো সরঞ্জাম শান দেয়ার কাজই বেশি হচ্ছে।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘কামারদের তৈরি লোহার দা-বটি টেকসই ও কাজেও ভালো হয়। তবে এবার দাম কিছুটা বেশি।’
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রুমানা আক্তার বলেন, ‘বাড়ির জন্য বটি নিতে এসেছি। এখানকার যন্ত্রপাতি অনেক ভালো।’ তার সহপাঠী পঞ্চগড়ের লিমাও বাড়ির জন্য একটি চাপাতি কিনেছেন।
আরও পড়ুন: কোরবানির গরু কিনে বাড়ি ফেরা হলো না বাবা-ছেলে-ভাগ্নের
কারিগর মো. মামুন বলেন, ‘বিদেশি দা-বটির কারণে বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে। তবুও বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার পেয়েছি। এখন দোকানে বিক্রির কাজ চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত কাজ চলছে। কারিগরের মজুরি ৮০০ টাকা, শ্রমিকদের ৬৫০ টাকা, আর শান দেয়ার মজুরি ৪০০-৫০০ টাকা। ঈদ উপলক্ষে কিছু বোনাসও দেয়া হয়।’
আরেক কারিগর বাবু বলেন, ‘লোহার ও কয়লার দাম বেড়েছে, তবে পণ্যের দাম বাড়াতে পারছি না। সামান্য লাভেই বিক্রি করছি।’
তিনি আরও জানান, পশু জবাইয়ের ছুরি সাইজ অনুযায়ী ৫০০-১,০০০ টাকা, দা-বটি ৬০০-৭০০ টাকা কেজি, আর চাকু ৩০-১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবছরের মতো এবারও প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল বিক্রির আশা করছেন কামাররা।
]]>