কোরবানি আমাদের যে শিক্ষা দেয়

৩ সপ্তাহ আগে
প্রত্যেক বছর আমাদের মাঝে কোরবানির ঈদ আসে। ঈদ উপলক্ষে আমরা লক্ষ লক্ষ গরু ছাগল আল্লাহর নামে কোরবানি করে থাকি। এবারও ছোট-বড় লক্ষ লক্ষ পশু কুরবানি হবে।

এই কোরবানির উদ্দেশ্য এবং শিক্ষা কি? এই কোরবানির তাৎপর্য কী? কেন আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কোরবানির আদেশ দিলেন? এ সকল পশুগুলোকে আল্লাহর নামে উৎসর্গ করার পিছনে কোন না কোন তাৎপর্য তো অবশ্যই রয়েছে। 


আজ আমরা সে সকল তাৎপর্য ও শিক্ষা সম্পর্কে আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কোরবানির শিক্ষা লাভ করার তাওফিক দান করেন, আমিন।

একটি হল মূল আরেকটি হল খোসা। মূল ছাড়া খোসার কোন মূল্য নাই। যেমন ভাবে নারিকেলের ভিতরে যদি নারিকেল না থাকে উপরের খোসার কোন মূল্য থাকবেনা। তেমনিভাবে কোরবানি হল খোসা তার শিক্ষাটা হলো মূল বা আসল। সুতরাং যদি কোরবানী থেকে আমরা শিক্ষা না নেই তাহলে লক্ষ লক্ষ টাকার খোসা দিয়ে কী লাভ হবে? 


এজন্যই কোরবানি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে পরিপূর্ণ শিক্ষা লাভ করার তাওফিক দান করুন, আমীন।

 

তাওহিদের স্বীকৃতি দান


তাওহিদ অর্থ: একত্ববাদে বিশ্বাসী হওয়া। পূর্বের যুগের মানুষেরা এক আল্লাহকে ভুলে একাধিক দেবদেবীর উপাসনা করত এবং তাদের নামে পশু উৎসর্গ করতো। তার মুকাবেলায় আল্লাহ তাআলা আমাদেকে এক আল্লাহর বিশ্বাসী হয়ে তার নামে পশু কোরবানি করার আদেশ দান করলেন। এর দ্বারাই তিনি আমাদেরকে তাওহীদ তথা একত্ববাদের শিক্ষা দিলেন। 

 

আরও পড়ুন: দেশে আরাফার রোজা কী বার?

 

আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন -فَاذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلَیۡہَا صَوَآفَّ সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান অবস্থায় ওগুলোর উপর (জবেহ করার সময়) তোমরা আল্লাহর নাম নাও।(সূরা হজ্ব,আয়াত-৩) প্রত্যেক বৎসর এ কোরবানি আমাদেরকে তাওহীদ তথা একত্ববাদের শিক্ষা দেয়।

 

তাকওয়া অর্জনের শিক্ষা


তাকওয়া অর্থ হলো আল্লাহর ভয়। খোদাভীতি অর্জন করা। আল্লাহ তাআলা যা আদেশ করেছেন তা মান্য করা আর যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন করা। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন,

 

لَنۡ یَّنَالَ اللّٰہَ لُحُوۡمُہَا وَ لَا دِمَآؤُہَا وَ لٰکِنۡ یَّنَالُہُ التَّقۡوٰی مِنۡکُمۡ আর্থ: আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর গোশত এবং রক্ত পৌছায় না, বরং তাঁর কাছে পৌছায় তোমাদের তাকওয়া। (সুরা হজ্ব: ৩৭)

 

অর্থাৎ আমরা আল্লাহ তাআলার নির্দেশ পালনার্থে তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য টাকা পয়সার মায়া ত্যগ করে কোরবানি করবো। আমাদের মনের এ নিয়তই আল্লাহর কাছে পৌঁছবে। আমরা যেভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার মায়া ত্যগ করে আল্লাহর নির্দেশ পালন করছি, তেমনি ভাবে আমাদের মনের সকল মন্দ চাহিদাকে বর্জন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য তাঁর বিধানকে মেনে চলবো,ইনশাআল্লাহ। কোরবানি আমাদেরকে এ শিক্ষাই দিচ্ছে।

 

আল্লাহর নিদর্শনাবলী প্রকাশের শিক্ষা

 

কেননা, আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন, وَ الۡبُدۡنَ جَعَلۡنٰہَا لَکُمۡ مِّنۡ شَعَآئِرِ اللّٰہِ لَکُمۡ فِیۡہَا خَیۡرٌ আর কোরবানির পশুকে আমি আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম করেছি; তোমাদের জন্য তাতে অনেক কল্যান রয়েছে।(সুরা হজ্ব: ৩৬)


এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা কোরবানির পশু কে শাআইর বলেছেন। আর শাআাইর ঐ সকল এবাদত কে বলা হয় যা প্রকাশ্যে করা হয়। যেমন- নামাজ, আজান, মসজিদ, কোরবানি ইত্যাদি। সুতরাং কোরবানি দ্বারা আমাদেরকে এ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যে, আমরা আল্লাহ তাআলার ঐ সকল ইবাদত যা প্রকাশ্যে করার তা প্রকাশ্যে আদায় করবো। আর এভাবেই  আমরা ইসলামকে বিশ্বময় প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।  

 

সহমর্মিতা ও সামাজিকতার শিক্ষা

 

কেননা আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, فَاِذَا وَجَبَتۡ جُنُوۡبُہَا فَکُلُوۡا مِنۡہَا وَ اَطۡعِمُوا الۡقَانِعَ وَ الۡمُعۡتَرَّ তারপর যখন (জবেহের পর) কোরবানির পশু কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তোমরা তা থেকে আহার কর এবং আহার করাও ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকে ও সাহায্যপ্রার্থীদেরকে। (সুরা হজ্ব, আয়াত-৩৬)


হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ইসলামের প্রাথমিক যুগে একবার কোরবানির দিন কিছু গ্রাম্য লোক মদীনা মুনাওয়ারাতে আগমন করল। রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদেরকে বললেন- তোমরা তিন দিনের সমপরিমান গোশত রেখে বাকি সব  সদকা করে দাও। অতঃপর সাহাবারা তাই করলেন। পরবর্তীতে হুজুর আকরাম সাল্লাল্লাহু আলইহি  ওয়াসাল্লাম এ বিধান রহিত করে দিয়ে বললেন-

 

إِنَّمَا نَهَيْتُكُمْ مِنْ أَجْلِ الدَّافَّةِ الَّتِي دَفَّتْ فَكُلُوا وَادَّخِرُوا وَتَصَدَّقُوا অর্থ: আমি তো বেদুঈনদের আগমনের কারণে এ কথা বলেছিলাম। অতঃপর এখন তোমরা খেতে পার, জমা করে রাখতে পার এবং সাদাকাহ করতে পার।(সহীহ মুসলিম, হাদিস-১৯৭১)


 

এই আয়াত এবং হাদিস শরীফ দ্বারা কোরবানির এ উদ্দেশ্যটি  পরিষ্কার ভাবে বুঝা যায়। সুতরাং  কোরবানি আমাদেরকে সহমর্মিতা ও সামাজিকতা শিক্ষা দেয়। 


লোকেরা এ যুগে এসে এ শ্লোগান আবিষ্কার করেছে, কেউ কেউ খাবে কেউ খাবেনা, তা হবে না, তা হবে না। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাড়ে চৌদ্দশ বছর পূর্বে সহমর্মিতা এবং সামাজিকতার বিষয়টিকে ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ আদর্শে পরিণত করে গিয়েছেন।

 

ত্যাগ ও উৎসর্গ করার শিক্ষা


আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তার আদেশ বাস্তবায়নে সকল ধরনের ত্যাগ স্বীকার করা এবং নিজের জীবনের সবকিছু উৎসর্গ করে দেওয়ার এক  অনন্য শিক্ষা কোরবানি ধারন করে চলছে।


কেননা, হজরত ইসমাঈল আ. হজরত ইবরাহিম আ. এর বৃদ্ধ বয়সে জন্ম নেওয়া একমাত্র পুত্র সন্তান। যখন তিনি বাবার সাথে সহযোগিতার বয়সে উপনীত হলেন তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে কোরবানির আদেশ এল।


যেমন, আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন,

 

فَلَمَّا بَلَغَ مَعَہُ السَّعۡیَ قَالَ یٰبُنَیَّ اِنِّیۡۤ اَرٰی فِی الۡمَنَامِ اَنِّیۡۤ اَذۡبَحُکَ অতঃপর তিনি যখন তার পিতার সাথে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হলেন, তখন ইবরাহিম বললেন, হে প্রিয় বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ করছি।(সূরা সাফফাত,আয়াত-১০২)

 

এখানে হজরত ইবরাহিম আ. কোন ধরনের টালবাহানা করেননি। অথবা এ কথা বলেননি যে, হে আল্লাহ! শেষ বয়সে দ্বীনের খেদমতের জন্য আমাকে একটি সন্তান  দিয়েছো, এখন আবার তাকে  জবাই করার নির্দেশ। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। অথবা বলেননি যে, হে আল্লাহ! বিধানটা পাল্টে দাও। অথবা স্বপ্নের অন্য কোন ব্যাখ্যাও তিনি করতে চাননি বরং তিনি ঐ মুহূর্তে তা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে গেলেন। 


তাহলে কোরবানি আমাদেরকে এই শিক্ষা দেয় যে, আল্লাহর হুকুমের সামনে কোন ধরনের টাল বাহানা না করে, আল্লাহর হুকুম কে পরিপূর্ণভাবে মেনে নিতে আর এর জন্য যে কোনো ত্যাগ ও বিসর্জনের জন্য প্রস্তুত থাকতে।

 

পরামর্শ করার শিক্ষা


কেননা আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-قَالَ یٰبُنَیَّ اِنِّیۡۤ اَرٰی فِی الۡمَنَامِ اَنِّیۡۤ اَذۡبَحُکَ فَانۡظُرۡ مَاذَا تَرٰی হজরত ইবরাহিম আ. বললেন, হে প্রিয় বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ করছি। এখন তোমার অভিমত কি বল? (সুরা সাফফাত, আয়াত-১০২)


হজরত ইবরাহিম আ. হচ্ছেন পিতা। তার বয়স প্রায় ৯০ বছরের মত। আর ছেলে ইসমাঈল আঃ এর বয়স ৭/৮ বছর। তিনি তার সাথেও পরামর্শ করলেন। অথচ আজকে আমারা ঘরে, বাইরে পরামর্শ করিনা। অনেক ভাই তো এমন আছেন যারা ঘরের কাজকর্মে স্ত্রী কেও জিজ্ঞেস করেন না। একারণে ঘরে অনেক ধরনের অশান্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে। কোরবানি আমাদেরকে কাজে-কর্মে ছোট বড় সকলের সাথেই পরামর্শ করতে শিক্ষা দেয়।

 

অধিনস্তদের দীনদার বানানোর শিক্ষা


কেননা, যখন ইবরাহিম আ. তার ছেলেকে আল্লাহর নির্দেশের কথা বললেন, তখন তিনি কত চমৎকার উত্তর দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-

 

ؕ قَالَ یٰۤاَبَتِ افۡعَلۡ مَا تُؤۡمَرُ ۫ سَتَجِدُنِیۡۤ اِنۡ شَآءَ اللّٰہُ مِنَ الصّٰبِرِیۡنَ তিনি বললেন, হে আমার পিতা! আপনি যা আদেশপ্ৰাপ্ত হয়েছেন তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন। (সুরা সাফফাত, আয়াত-১০২)

 

একটু ভেবে দেখুন! হজরত ইসমাঈল আঃ এর পিতা মাতা তাকে কেমন শিক্ষা দীক্ষার মাধ্যমে গড়ে তুলে ছিলেন। এ ৭/৮ বছর বয়সে তিনি আল্লাহর বিধানের সামনে নিজেকে কিভাবে সোপর্দ করে দিয়েছিলেন। কোরবানি আমাদেরকে এ শিক্ষা দেয় যে, আমরাও আমাদের সন্তান ও অধীনস্তদেরকে শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমে এভাবে গড়ে তুলবো যেন তারা আল্লাহর বিধান মানে নিতে শতভাগ প্রস্তুত থাকে।

 

পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করার শিক্ষা


কেনন, আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-

 

فَلَمَّاۤ اَسۡلَمَا وَ تَلَّہٗ لِلۡجَبِیۡنِ অতঃপর যখন তারা উভয়ে আত্মসমর্পণ করল এবং ইবরাহিম তার পুত্রকে উপুড় করে শায়িত করল।(সুরা সাফফাত, আয়াত-১০৩)


 

সুতরাং কোরবানি আমাদেরকে এ শিক্ষা দেয় যে, আমরা পিতা পুত্রের মত আল্লাহর বিধানের সামনে  সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করবো।
নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেকের দাবিকে উপেক্ষা করে আল্লাহর বিধান পালনে সচেষ্ট থাকব এবং জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেক কে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী গড়তে চেষ্টা করবো।

 

আরও পড়ুন: নবীজি যেভাবে কোরবানি করতেন

 

সবর ও ধৈর্যের শিক্ষা


হযরত ইবরাহীম আঃ এবং হযরত ইসমাঈল আঃ আল্লাহর বিধান পালনের ক্ষেত্রে সবর এবং ধৈর্যের যে পরিচয় দিয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। যার কারণে তারা সফলতা লাভ করেছেন। আসমানী দুম্বা পুরষ্কারপ্রাপ্ত হয়েছেন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন,
 

قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا ۚ إِنَّا كَذَٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ . إِنَّ هَٰذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ . وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ অর্থ: তুমি তো স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করে দেখালে। নিশ্চয় আমি এইভাবে সৎকর্মপরায়ণদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আর আমি তার পরিবর্তে যবেহযোগ্য এক মহান জন্তু দিয়ে তাকে মুক্ত করে নিলাম। (সুরা সাফফাত, আয়াত-১০৫-১০৭)

 

সুতরাং কোরবানি আমাদেরকে এ শিক্ষা দেয় যে, আমরা আল্লাহর বিধান পালনের ক্ষেত্রে সবর ও ধৈর্যের পরিচয় দিব। তাহলে আমরাও তাদের মত পুরষ্কার পাবো। ইনশাআল্লাহ।

 

পশু কোরবানির সাথে সাথে নফছ নামক পশুটারও কোরবানি করবো


নফছ সর্বদাই মন্দ কাজের দিকে আগ্রগামী থাকে। তাইতো হযরত ইউসুফ আ. বলেন-


وَ مَاۤ اُبَرِّیٴُ نَفۡسِیۡ ۚ اِنَّ النَّفۡسَ لَاَمَّارَۃٌۢ بِالسُّوۡٓءِ اِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّیۡ ؕ اِنَّ رَبِّیۡ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ অর্থ: আর আমি নিজকে নির্দোষ মনে করিনা, কেননা নিশ্চয় মানুষের নাফছ খারাপ কাজের নির্দেশ দিয়েই থাকে; কিন্তু সে নয়, যার প্রতি আমার রব দয়া করেন। নিশ্চয় আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা ইউসুফ: ৫৩)

 

কোরবানির পশুকে যেমন ধরে, বেঁধে  জবেহ করতে হয়েছে, তেমনি ভাবে আমাদের নফছকে ধরে, বেঁধে হক্কানি আল্লাহ ওয়ালার সুহবতে নিয়ে জবেহ করতে হবে। এর সকল খারাপ চাহিদাগুলো থেকে বারন করতে হবে। নিজে নিজে এটার সংশোধন হবেনা। এর সংশোধনের জন্য আল্লাহ ওয়ালার সুহবত জরুরি। 

 

প্রিয় মুমিন ভাই ও বোনেরা! এগুলোই কোরবানির শিক্ষা। এগুলো আমাদের মেনে চলা অতি আবশ্যক। আমরা যদি এগুলো মেনে চলতে পারি তাহলে আমাদের কোরবানি সার্থক এবং সফল হবে। অন্যথায় আমাদের কোরবানি শুধুই খোসার মতো থেকে যাবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই কোরবানি থেকে শিক্ষা লাভ করার এবং ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য সংশোধন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন। ইয়া রব্বাল আলামিন।

 

লেখক: শিক্ষক, লালবাগ মাদরাসা ঢাকা, খতিব, আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ ঢাকা, পরিচালক, দাওয়াতুস সুন্নাহ বাংলাদেশ

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন