নারীদের এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপে আগের আসরের চেয়ে প্রাইজমানি বাড়ছে চারগুণ। আট দলের এই আসরে মোট প্রাইজমানি ধরা হয়েছে ১৩.৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৫২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা), যা ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আগের আসরের- ৩.৫ মিলিয়ন ডলার (৩৮.৫ কোটি টাকা) থেকে ২৯৭ শতাংশ বেশি।
ছেলেদের সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৩ সালে। ১০ দলের সে আসরে মোট প্রাইজমানি ছিল ১ কোটি ডলার বা ১২১ কোটি টাকার বেশি। এর আগে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর আগে সমান পারিশ্রমিক চালুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিত-কোহলির যথাযথ বিদায় চান ভারতের এই তারকা
২০২৩ পুরুষদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের জন্যই ছিল প্রাইজমানি। কোনো ম্যাচ না জিতলেও ১ লাখ মার্কিন ডলার আয় হতো। তবে সে আসরে বাংলাদেশ জিতেছিল ২ ম্যাচে। আর তাতেই ১ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার পেয়েছিল বাংলাদেশ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ছিল ২ কোটি টাকা।
সেবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। আফগানিস্তানকে হারিয়ে আসর শুরু করলেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি টাইগাররা। পরের টানা ৬টি ম্যাচ হেরে যায় লাল-সবুজের দল। অবশেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল। পুরো টুর্নামেন্টে মাত্র এই দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল তারা।
আরও পড়ুন: এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ
এবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ছেলেদের থেকে বেশি টাকা পাবে বাংলাদেশ। অংশ নিলেই মিলবে ৩ কোটি টাকারও বেশি প্রাইজমানি। আর প্রতিটি জয়ের জন্য থাকছে অতিরিক্ত ৩৪,৩১৪ ডলার। গ্রুপ পর্ব শেষে পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে থাকা দল পাবে ৭ লাখ ডলার (৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা)। আর সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা দল পাবে ২.৮ লাখ ডলার (৩.০৮ কোটি টাকা)।
এবারের আসরে রানার্সআপ দল পাবে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার (২৪.৬৪ কোটি টাকা), যা তিন বছর আগে ইংল্যান্ডের পাওয়া ৬ লাখ ডলার (৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা) থেকে ২৭৩ শতাংশ বেশি। দুই সেমিফাইনালে হারা দলের প্রত্যেকেই পাবে ১.১২ মিলিয়ন ডলার (১২.৩২ কোটি টাকা), ২০২২ সালের যা ছিল ৩ লাখ ডলার (৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা)।
]]>