কোচিং না থাকলে হয়ত বেঁচে যেত নিধিসহ অনেক শিক্ষার্থী

১৯ ঘন্টা আগে
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টায় ছুটি হয়েছিল। তবে কোচিং থাকায় ক্লাসরুমেই থেকে গিয়েছিল নিধিসহ অনেক শিক্ষার্থী। ঠিক সেই সময়ে আছড়ে পড়ে যুদ্ধবিমানটি। মুহূর্তেই নিভে যায় নিধি, আফিয়াসহ অনেকের জীবন প্রদীপ। তবে পুড়ে যাওয়ায় ডিএনএ টেস্টে শনাক্ত করা হয় পরিচয়। তিন দিন পর দাফন করা হয় তাদের দেহ।

সোমবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এরপর হতাহতদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটতে থাকে অ্যাম্বুলেন্স। একের পর এক খবর আসতে থাকে মৃত্যুর। হাসপাতালে ছুটতে থাকেন অভিভাবকরা। তেমনই একজন ফেরদৌস নিধির বাবা।

 

হাসপাতাল, মর্গ, দুর্ঘটনাস্থল- সবখানে হন্তদন্ত হয়ে ছুটেছেন তিনি। এক পর্যায়ে পান মেয়ের দেহ। ডিএনএ পরীক্ষায় শনাক্ত হয় নিধির মরদেহ। অপেক্ষা শেষ হয় বাবার। তবে সেই অপেক্ষা ছিল মৃত্যুর চেয়েও কঠিন!

 

আরও পড়ুন: আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছে মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরা

 

চিরঘুমে ছোট্ট আফিয়াও। স্বজনদের বুক ফেটে কান্না আসে না। চুপ করে কেবল মেয়ের স্মৃতি হাতড়ে যান। একটা ফাঁকা আঙিনা, একটা না পড়া বই ঘিরে অপেক্ষা, যা আর কখনোই ফুরাবে না। পুড়ে অঙ্গার মেয়ের দেহাবশেষ পাওয়া বাবা-মা বলছেন, মায়ার কোনো শরীর হয় না। বুক ফেটে যায় যখন তাকে চিরবিদায় জানাতে হয়।

 

আরও পড়ুন: মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি / বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ছাড়পত্র পেল ২ শিক্ষার্থী

 

জানা যায়, দুর্ঘটনার দিনে মাইলস্টোন স্কুল ছুটি হয়েছিল দুপুর ১টায়। পরে কোচিংয়ের জন্য ক্লাসরুমেই থেকে গিয়েছিল নিধিসহ অনেক শিক্ষার্থী। সেদিন স্কুল ছুটির পর কোচিংয়ে না গেলে হয়ত পরিবারের মাঝেই থাকত নিধি। এ ঘটনার পর আবারও শিক্ষাঙ্গণে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের দাবি জানান স্বজনরা।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন