মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে ১৪ হাজার ২৯৫টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে। তার পর শুরু হবে ভোট গণনা।
৭ জন প্রার্থী থাকলেও মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে হচ্ছে এই ভোটযুদ্ধ। ডেমোক্রেটিক পার্টি অব কোরিয়া (ডিপিকে)-এর প্রার্থী ই জে-মিয়ং এবং পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি)-এর প্রার্থী কিম মুন-সু।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি লি জয় পান তাহলে তার হাতে থাকবে শক্তিশালী ম্যান্ডেট ও সংসদীয় নিয়ন্ত্রণ, যা দিয়ে তিনি রাজনৈতিক সংস্কার চালাতে পারবেন।
দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, প্রায় পাঁচ কোটি ২০ লাখ মানুষের দেশটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৩ লাখ। যার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ৩৭.৪ শতাংশ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। এছাড়াও বিদেশে ভোটদানে অংশগ্রহণকারী ২ লাখ ৫ হাজর ২৬৮ জন ইতোমধ্যে ভোট সম্পন্ন করেছেন। তবে মঙ্গলবার নির্বাচনের দিন কতজন ভোট দেবেন, সেটি এখন দেখার বিষয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই পুলিশি পাহারায় ব্যালট বাক্সগুলো সারা দেশে ২৫৪টি নির্ধারিত গণনা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হবে।
চূড়ান্ত ফলাফল কখন ঘোষণা করা হবে তা নির্ভর করে ভোটারদের ভোটদান এবং প্রার্থীদের মধ্যে ভোট ব্যবধানের ওপর। আগের নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ২০১৭ সালের নির্বাচনে গণনা শুরু হওয়ার মাত্র দুই ঘণ্টা পরই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও ২০২২ সালের নির্বাচনে ভোট গণনার প্রায় আট ঘণ্টা পর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তবে এবারের নির্বাচনে সম্ভাব্য বিজয়ী ঘোষণা করতে মঙ্গলবার মধ্যরাত কিংবা বুধবার ভোরও হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে নির্বাচন কমিশন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। যিনি প্রেসিডেন্ট হবেন, তাকে ঠাণ্ডা মাথায় দেশের হাল ধরে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
]]>