কৃত্রিম সংকটে বাড়ছে সারের দাম, অভিযোগ চাষিদের

৩ সপ্তাহ আগে
নাটোরে আমন মৌসুমের শুরুতেই খুচরা পর্যায়ে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এতে বাড়তি দামে সার কেনার অভিযোগ কৃষকদের। এদিকে, জেলায় সারের সংকট নেই বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।

নাটোর জেলার অধিকাংশ আবাদি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ শেষ পর্যায়ে। কৃষকরা রোপণ করা ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি দিচ্ছেন সার। তবে আমন মৌসুমের শুরুতেই খুচরা পর্যায়ে সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দামে সব ধরনের সার বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।

 

চাষিরা বলেন, সব ধরনের সারে বাড়তি দাম নেয়া হচ্ছে। এতে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।

 

এদিকে, খুচরা দোকানদারদের দাবি, ডিলারদের কারণে বাড়ছে সারের দাম। খুচরা বিক্রেতা মাসুম দেওয়ান বলেন, সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বিসিআইসি ও বিএডিসি ডিলাররা সার সংকট দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে। ফলে কৃষক পর্যায়ে দাম বাড়ছে।

 

আরও পড়ুন: দেড় লাখ টন সার ও ফসফরিক অ্যাসিড কিনবে সরকার, ব্যয় কত?

 

আর সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত ডিলারদের দাবি, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে তারা সার বিক্রি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, আমন মৌসুম শুরু হওয়ায় সারের মিনি পিক আওয়ার চলছে। তবে সারের সংকট না থাকায় সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে সার বিক্রি হচ্ছে।

 

স্থানীয় কৃষিবিভাগ বলছে, জেলায় সারের সংকট নেই। নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, আমন মৌসুমের জন্য জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাটোর জেলার জন্য ৪ ধরনের সার বরাদ্দ হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন। অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ করেনি কৃষকরা।

 

তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের। নাটোরের  জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামে সার বিক্রি নিশ্চিত করতে কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হবে।’

 

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে নাটোরে ৭৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন