বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১১ টার দিকে আলিপুর মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে মাছটি নিলামে কুয়াকাটা ফ্রেশ ফিসের স্বত্বাধিকারীরা পিএম মূসা কিনে নেন।এর আগে গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) গঙ্গামতি সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছটি ধরা পড়ে।
জেলে মাসুম বিল্লাহ জানান, বঙ্গোপসাগরে গভীরে গিয়ে আমি ইলিশ মাছ ধরি। জাল তুলতেই বড় এই ইলিশ মাছটি উঠে আসে। ডাকের মাধ্যমে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা মণ দরে প্রতিকেজি ৩ হাজার ৫৫০ টাকা দরে ৮ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।আলহামদুলিল্লাহ আমি খুবই খুশি।
কুয়াকাটা ফ্রেশ ফিসের স্বত্বাধিকারী কে এম মূসা বলেন, এতবড় মাছ এই বাজারে এখন খুব কম দেখা মেলে তাই আমি নিলামের মাধ্যমে মাছটি ক্রয় করে গাজীপুরের এক আমেরিকান প্রবাসীর ভাইয়ের বাসায় পাঠাব।
আরও পড়ুন: দাম কমলেও নাগালের বাইরে ইলিশ
ওয়ার্ল্ডফিশ-বাংলাদেশের গবেষণা সহকারী মো. বখতিয়ার রহমান বলেন, ছোট ইলিশের অযাচিত আহরণ, নদীতে পানি কমে যাওয়া, বাঁধ ও স্লুইস গেটের কারণে মাছের অভিবাসনে বাধা, অবৈধ জাল ব্যবহার ও সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির অভাবের ফলে বড় ইলিশের সংখ্যা কমছে। এছাড়া পানি দূষণ, প্ল্যাঙ্কটনের ঘাটতি, জলবায়ু ও লবণাক্ততার পরিবর্তন ইলিশের প্রজনন ও খাদ্য সরবরাহে প্রভাব ফেলছে, যা বড় ইলিশের সংখ্যা কমার মূল কারণ।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা এ বিষয়ে বলেন, 'এটি অত্যন্ত ভালো খবর। এটি নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। বড় ইলিশে ফ্যাট বেশি থাকায় এতে ওমেগা-৩ ও ভিটামিন থাকে, যা হৃদরোগ, চোখের সমস্যা ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। জালের প্রশস্ততা বাড়ালে এমন সাইজের মাছ বেশি ধরা পড়বে।'