সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে সৈকতের পশ্চিম পাশে স্বপ্নরাজ্য পার্ক পয়েন্ট এলাকায় স্থানীয়রা ডলফিনটি দেখতে পান।
খবর পেয়ে কুয়াকাটা পৌরসভা ও বন বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ডলফিনটি মাটিচাপা দেয়ার উদ্যোগ নেয়। বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, ‘মৃত ডলফিন থেকে যাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে না পারে, সেজন্য দ্রুত মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, ‘খবর পেয়ে পরিচ্ছন্নকর্মী পাঠিয়ে মৃত ডলফিনটি মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের ঘটনায় সব সময় সতর্ক রয়েছি।’
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় এক ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি!
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের কুয়াকাটা আহ্বায়ক কেএম বাচ্চু বলেন, ‘ডলফিন রক্ষা মানে উপকূলের পরিবেশ রক্ষা। এটি প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের অংশ, যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য।’
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক বখতিয়ার রহমান জানান, ‘মৃত ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির। এর গায়ে রক্তাক্ত দাগ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, নৌযান, মাছ ধরার যন্ত্র বা জেলেদের কার্যক্রমের কারণেই এর মৃত্যু হয়েছে।’
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ‘চলতি বছর এখন পর্যন্ত আটটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে কুয়াকাটাসহ আশপাশের এলাকায়। গত বছর ভেসে এসেছিল ১০টি এবং ২০২৩ সালে ১৫টি।’
]]>