রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল খেয়া ঘাটের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদে এ ঘটনায় আমিনুল ইসলাম নামে এক গরু ব্যবসায়ী ডাকাতের রাম দায়ের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ওই গরু ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় চিলমারী নৌ থানার পুলিশের ৩ জন সদস্য নিকটবর্তী থাকলেও তাদের সামনে দিয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ায় বিক্ষুব্ধ জনগণ তাদের আটক করে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের আটকে রাখে। পরে চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাহেদ খানের নেতৃত্বে একটি টিম নিয়ে পরিষদ থেকে ওই তিন পুলিশ সদস্য উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার
নৌকার মাঝি ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুর ১২টার দিকে রাজিবপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি নৌকায় গরু ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে কড়াইবরিশাল খেয়াঘাটের কাছে আসলে ডাকাতরা তাদের ওপর হামলা করে। পরে তারা কড়াইবরিশাল খেয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী নৌকায় সাঁতরে উঠলে সশস্ত্র ডাকাতরা সেখানে আক্রমণ করে।
নৌকার মাঝি মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘খেয়া ঘাটের কাছাকাছি গরু ব্যবসায়ীদের নৌকা ছিল। তাঁদেও নৌকায় ডাকাতি করতে এসে আমার নৌকাতেও হানা দেয়। এ সময় ডাকাতেরা একটা গুলি করে কয়েক লক্ষ টাকা কেড়ে নেয়। পাশে পোশাক পরা তিনজন পুলিশ সদস্য ছিলেন, কিন্তু তাঁরা এগিয়ে আসেননি।’
গরু ব্যবসায়ীদের বরাতে আজম মিয়া বলেন, ‘ব্যাপারীদের কয়েক লাখ টাকা ডাকাতেরা নিয়ে গেছে। আমরা ধাওয়া করেছিলাম। পুলিশ একটা ফাঁকা গুলি করলেও ডাকাতদের ধরা যেত। তারা এগিয়ে আসেনি।’
আহত গরু ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের স্ত্রীর ছোট বোন বিশার পাড়া এলাকার সাবিনা খাতুন বলেন, ‘ডাকাতের রাম দায়ের আঘাতে তার বোন জামাই গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ২৫ ভরি স্বর্ণ লুট, গুলিবিদ্ধ ১
চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাহেদ খান জানান, নৌপথ নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের ৩ সদস্য পাঠানো হয়েছিল। ডাকাতির ঘটনাস্থল থেকে তারা দূরে ছিল। স্থানীয়রা ভুল বুঝে পুলিশ সদস্যদের আটকে রাখে। পরে চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সহযোগিতায় তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।