জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এছাড়া নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ জন পরীক্ষার্থী এবং ফুলবাড়ি উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় বেশ কিছু বিদ্যালয়ে কৃতকার্যের চেয়ে অকৃতকার্যের সংখ্যাই বেশি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীর চারটি বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ ফেল
ফুলবাড়ি উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব বলেন,
বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৩ সালে নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। এ বছর ৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের আশেপাশের গরীব মানুষের বসবাস। পরীক্ষার্থীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা করছিল। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক ও ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাত শিক্ষকের বিদ্যালয়ে ৫ পরীক্ষার্থী, চারজনই ফেল
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম শতভাগ ফেলের বিষয়ে বলেন,
আমি কিছু দিন আগে এ জেলার এসেছি। শতভাগ ফেল করা বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা কেমন আমার জানা নেই। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে বিদ্যালয়গুলো থেকে কেন কেউ পাশ করেনি সেটির কারণ প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বোর্ড কমিটির প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা গেছে, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৬৭ শতাংশ ও ফেলের হার ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় পাশের হার ৬২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ জেলায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৫৮ জন শিক্ষার্থী।
]]>