এক মাসের বেশি সময় ধরে কুড়িগ্রাম জেলায় তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৩৫ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে খামারে লালনপালন করা ব্রয়লার মুরগি। আবার অনেক মুরগির মাথা নুয়ে পড়েছে মাটিতে। ফ্যানের বাতাসে রক্ষার চেষ্টা করছেন খামারিরা।
এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন জেলার ব্রয়লার মুরগির খামারিরা। অসহনীয় গরমে নানা হিট স্ট্রোকে মারাও যাচ্ছে মুরগি। এমন পরিস্থিতিতেও মিলছে না স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের পরামর্শ। নিজ উদ্যোগে চিকিৎসার পাশাপাশি খামার ঠান্ডা রাখার নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ক্ষতি কাটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি খামারিদের।
আরও পড়ুন: গরমে পোলট্রি খামারিদের ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা: বিপিএ
খামারিরা বলেন, এই তাপমাত্রায় মুরগি টিকিয়ে রাখাটা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে অনেক মুরগি। ফ্যান, খাবার, ওষুধ দিয়েও কাজ হচ্ছে না।
হিট স্ট্রোকের কথা স্বীকার করে উচ্চ তাপমাত্রা সহনশীল জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে খামারিদের লোকসান কমানোর কথা জানায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা। কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাপমাত্রা সহনশীল একটি জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে। আগামী বছরেই মধ্যেই এটি আসতে পারে। এতে ঝুঁকি থেকে রেহাই পাবেন খামারিরা।
উল্লেখ্য, প্রাণিসম্পদ বিভাগের তালিকায় গত বছর জেলার ৯ উপজেলায় ২ হাজারের বেশি ব্রয়লার মুরগির খামার থাকলেও নানা প্রতিকূল পরিবেশে বর্তমানে এসে নেমেছে ৮৫৬টিতে।
]]>