একই সাঙ্গে বেতন বৃদ্ধিসহ কয়েকদফা দাবি তুলে গৃহস্থালী রন্ধন পাত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের একাংশ শ্রমিকরাও আন্দোলনে অংশ নেই। সোমবার সন্ধ্যা থেকে শহরতলীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকার কারখানাটির প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিফটের কয়েক হাজার শ্রমিকরা এতে অংশ নেন। তারা, দশ দফা দাবি পেশ করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগদান করবেন না বলে ঘোষণা দেন।
দাবিগুলোর মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা মূল প্রতিষ্ঠান বিআরবি গ্রুপের শ্রমিকদের সঙ্গে সমন্বয় করা, ওভারটাইম বিল দেওয়া, ছুটির ব্যবস্থা ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে স্থায়ী নিয়োগ উল্লেখযোগ্য। এদিকে কর্মবিরতি চলাকালে শ্রমিকদের হাতে লাঠি নিয়ে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে এবং আশ্বাসে এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকরা কর্মবিরতি থেকে সরে আসেন। তবে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কিয়াম মেটালের শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে আন্দালন অব্যাহত রাখেন। এসময় শ্রমিকরা দাবি না মানা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
আন্দোলনে থাকা এম আর এস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিক আব্দুল করিম বলেন, ‘১০ দফা দাবি আদায়ে আমরা কর্মবিরতি পালন করছিলাম। আমাদের সাথে কিয়াম মেটালের শ্রমিকরাও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নামে। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ও আশ্বাসে জুন ক্লোজিং-এর পর আমাদের দাবি পূরণে ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন আশ্বাসে আমরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্দোলন থেকে সরে এসেছি। এর আগে গত ৮ মে সকালে কারখানায় প্রবেশের পর কাজ না করে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন কারখানাটির শ্রমিকরা। পরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মালিকপক্ষের প্রতিশ্রুতি পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শ্রমিকেরা তাদের কর্মবিরতি তুলে নিয়ে পুনরায় কাজে যোগ দেন। ওইদিন শ্রমিকেরা প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফ ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী মকিবুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে।’
এ বিষয়ে জানতে এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচাল শামসুর রহমানের মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তিনি ধরেননি। তবে ’নাম প্রকাশ না করে এক কর্মকর্তা জানান, কাঁচামালের অভাবে মাসের অধিকাংশ দিন প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বন্ধ থাকে। এর মধ্যে গ্রুপের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি পেলেও এমআরএসের শ্রমিকদের বাড়েনি। সেই দাবিতে তারা আন্দোলনে নামেন।