এতে একদিকে প্রবাসীরা পাচ্ছেন স্বদেশের স্বাদ, অন্যদিকে এদেশে বাংলাদেশি কৃষকদের হাতে লেখা হচ্ছে সফলতার এক অনন্য ইতিহাস।
প্রচণ্ড গরম কিংবা শীতের বৈরী আবহাওয়া সব কিছুকেই জয় করেছেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশি কৃষিশ্রমিকরা। বিরান মরুভূমিতে স্থানীয় নাগরিকদের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে তারা গড়ে তুলেছেন কৃষি ফার্ম।
আধুনিক সেচব্যবস্থা, নিরলস শ্রম আর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা উৎপাদন করছেন নানা দেশীয় সবজি। উৎপাদিত হচ্ছে লাউ, সিম, ঢেড়শ, বেগুন, পুঁইশাকসহ নানা প্রকার শাকসবজি। আরও উৎপাদিত হচ্ছে স্ট্রবেরি, কলা, পেঁপে ও আখসহ নানা ধরনের ফল।
আরও পড়ুন: কুয়েতে ভিসা জালিয়াতি চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার
এসব সবজি পৌঁছে যাচ্ছে কুয়েতের বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ ও স্থানীয় দোকানে। বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত সবজির তুলনায় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজি সস্তা হওয়ায় প্রবাসী ক্রেতারাও খুশি। ফলে প্রবাসীদের ঘরে ফিরেছে স্বদেশের স্বাদ এবং অর্থনৈতিক স্বস্তি।
এক সময় কুয়েতের বাজারে দেশীয় সবজির চাহিদা মেটাতে পুরোপুরি আমদানির ওপর নির্ভর করতে হতো। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের শ্রমেঘামে কুয়েতের বাজারে সরবরাহ হচ্ছে তাজা দেশীয় সবজি।
এতে আমদানি খরচ কমায় ক্রেতারা কম দামে পছন্দের সবজি পাচ্ছেন। আর প্রবাসীরা পাচ্ছেন ব্যবসায়িক সাফল্য। ফলে দিনদিন আরও প্রবাসী কৃষি উৎপাদনে ঝুঁকছেন। কৃষিখাতে বাংলাদেশিদের এই সাফল্যকে এক ধরনের ‘সবুজ বিপ্লব’ বলছেন অনেকেই।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আল আহমাদীর গভর্নরের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
কুয়েতের মরুভূমিতে বাংলাদেশিদের এই সবুজ বিপ্লব শুধু প্রবাসীদের জন্য আনন্দের নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও গর্বের। বিদেশের মাটিতে কঠিন পরিবেশ জয় করে দেশীয় কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রমাণ করছে, বাংলাদেশিরা যেখানেই যান, কঠোর পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে জানেন।
]]>