এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েট সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি আরও সাতটি অভিযোগ রয়েছে।
কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার জানান, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েটে চলমান অচলাবস্থা: জড়িতদের শাস্তির আগে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না শিক্ষকরা
এ দিকে, একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর পর ছয় দিন পার হলেও কুয়েটের শিক্ষকরা এখনো ক্লাসে ফিরেননি। শিক্ষকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত তারা কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা নেবেন না। শুধু তাই নয়, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে শাস্তি কার্যকর না হলে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকেও বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হলে আমরা সাধারণ সভা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। ফলে সেশন জটের আশঙ্কায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিক্ষার্থী।