বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) শেষ বিকেলে সৈকতের কম্পিউটার সেন্টার এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান ‘ডলফিন রক্ষা কমিটি’র সদস্য আবুল হোসেন রাজু।
প্রায় ৮ ফুট দৈর্ঘ্যের মৃত ডলফিনটির শরীরের বেশিরভাগ অংশের চামড়া উঠে গেছে এবং কিছু অংশ পচে গিয়ে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রে মৃত্যুর ৫ থেকে ৭ দিন পর এটি তীরে ভেসে এসেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসিন সাদিক। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের প্রাণীর মৃত্যু আমাদের জন্য অশনি সংকেত। জেলেদের আরও সতর্ক হতে হবে।’ পাশাপাশি বন বিভাগকে ডলফিনটি দ্রুত মাটিচাপা দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
ওয়ার্ল্ডফিশ-এর ইকোফিশ-২ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘আমরা মৃত ডলফিনগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিষক্রিয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা, ট্রলিং জেলেদের অসাবধানতা এবং সমুদ্রের প্লাস্টিক দূষণই এই মৃত্যুর মূল কারণ।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে গড়াই নদীতে ধরা পড়ল বিলুপ্তপ্রায় শুশুক
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘আমরা উপকূলজুড়ে ডলফিন রক্ষায় কাজ করছি। আগের তুলনায় মৃত্যুর হার কিছুটা কমলেও এখনও নিয়মিত এমন ঘটনা ঘটছে। সরকার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।’
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে বন বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ডলফিনটি মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।
পরিবেশবাদীদের মতে, উপকূলে প্রায়ই মৃত ডলফিন ভেসে আসা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুতর হুমকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ অবস্থায় সমুদ্র দূষণ ও মৎস্য শিকার পদ্ধতি নিয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।
]]>