বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক।
পুলিশ জানায়, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামের সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমের (নয়ন) সঙ্গে একই পরিবারের জা নুরজাহান বেগমের (৫০) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির পাশের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কোনোভাবেই বিরোধের সুরাহা না হওয়ায় নুরজাহান বেগম পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দুই লাখ টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৭ জুন সকালে আনোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১) এবং মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭) মিলে ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বস্তাবন্দি করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর আত্মহত্যার দাবি ভিত্তিহীন: ফ্যাক্টওয়াচ
ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরের বাগানে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বস্তাবন্দি মরদেহের সন্ধান পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে প্রথমে প্রধান আসামি জা নুরজাহান বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান তিনি। পরে আরও তিনজন আসামিকে আটক করে পুলিশ। এসময় নিহতের কানের দুল ও গলার চেইন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষোভ ঝেড়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাজ বন্ধ করলেন হাসনাত
এই বিষয়ে কুমিল্লা বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক সময় সংবাদকে বলেন, বুধবার গ্রেফতার চারজনকে আদালতে পাঠালে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
]]>