ডেঙ্গুতে মৃতরা হলেন: দোনারচর গ্রামের মান্নানের ছেলে ইউসূফ আলী, নাজির চৌধুরীর স্ত্রী মাকসুদা বেগম এবং রাসেলের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার। তারা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে প্রতিদিন মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিয়মিতভাবে উচ্চমাত্রার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে ফগার মেশিনের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: বরিশালে একদিনে ১৩৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুধু ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডেই ৬ শতাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। দোনারচর, সবজিকান্দি, দাউদকান্দি, সাহাপাড়া, বলদাখাল ও তুজারভাঙ্গা এলাকাগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তি, নারী-শিশু ও বৃদ্ধরাও।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্যমতে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওয়ার্ডভিত্তিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ঝোপঝাড় পরিষ্কার, জমে থাকা পানি নিষ্কাশন এবং ফগিং কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গলাচিপায় ডেঙ্গুতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ২৫৮ জন।
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
ডেঙ্গুর এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা ও জমে থাকা পানি অপসারণে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।