কুমিল্লায় ঈদের ২য় দিনেও সরানো হয়নি কোরবানির বর্জ্য

৩ সপ্তাহ আগে
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ঈদের কোরবানির বর্জ্য ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার রাতেও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে কোরবানির বর্জ্য ও আবর্জনার স্তূপ। এতে সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্গন্ধ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি।

রোববার (৮ জুন) সন্ধ্যার পর সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর দারোগাবাড়ি, চকবাজার মৌলভীপাড়া, গর্জনখোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির বর্জ্য এখনো পড়ে আছে। ডাস্টবিন উপচে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে এসব বর্জ্য। দুই দিন ধরে একই স্থানে আবর্জনা পড়ে থাকায় পথচারী ও এলাকাবাসী বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

দারোগাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ‘ঈদের দিন কোরবানি দেয়ার পর থেকেই এই বর্জ্য পড়ে আছে। দুর্গন্ধে রাস্তায় হাঁটা যায় না, ঘরে থাকা যায় না। বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মাজারে নামাজ ও জিয়ারতের জন্য যাওয়া লোকজনও দুর্ভোগে পড়ছে।’

 

একই এলাকার রৌশন আরা বেগম বলেন, ‘এতদিন ধরে এই আবর্জনা পড়ে আছে। সিটি কর্পোরেশন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বাসার ভেতরে থাকা কষ্টকর হয়ে গেছে।’

 

আরও পড়ুন: সীমান্তে চামড়া চোরাচালান প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা বিজিবির

 

চকবাজার মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা পাপন বলেন, ‘গতকালের কোরবানির বর্জ্য আজও পড়ে আছে। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়। পশু-পাখি বর্জ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে রাস্তায়।’

 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন সময় সংবাদকে বলেন, ‘৫২৪ জন কর্মী ও ৫২টি পরিবহনের মাধ্যমে আমরা বর্জ্য অপসারণে কাজ করছি। বলা হয়েছিল ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। আপনি যে এলাকাগুলোর কথা বলছেন, হতে পারে ওগুলো আজকের কোরবানির বর্জ্য। তারপরও আমি অপসারণের জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন