সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী, যাত্রী ও রোগীরা।
জানা যায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার নন্দনপুর বাজারে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, শ্রমিক ও মালিকরা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের দুপাশে ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধ তুলে নিতে শ্রমিক ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে।
এ দিকে বিভিন্ন বয়সের রোগী, পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট বাড়তে থাকে।
জেলা সিএনজিচালিত অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মিয়া বলেন, ‘আমাদের তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি চলছে। আজকে আমাদের শ্রমিকরা নন্দনপুর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আমরা এখানে খবর পেয়ে এসেছি। আলোচনা সাপেক্ষে আমাদের দাবি মেনে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আমরা সে আশ্বাসে সড়ক অবরোধ থেকে সরে এসেছি তবে আমাদের কর্মবিরতি চলছে।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ‘সিএনজি মালিক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তিন দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন। আজকে তারা দীর্ঘসময় মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। এতে অনেক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের বলেছি দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। সে আশ্বাসে তারা রাস্তা থেকে সরে এসেছেন। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শ্রমিকদের তিন দফা দাবিগুলো হলো:
পারমিট অনুযায়ী সড়কে সর্বোচ্চ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দিতে হবে, জেলা পুলিশ লাইনে আটক করা সব অটোরিকশা ছেড়ে দিতে হবে, মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধসহ ট্রাফিক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।