কিডনির সমস্যা এবং এর জটিলতা নিয়ে সময়ের সঙ্গে কথা বলেছেন টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার।
তিনি বলেন, কিডনি রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, একটি একিউট কিডনি ইনজুরি অন্যটি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ। হঠাৎ করে আক্রান্ত হলে তাকে একিউট বলা হয়। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে কিডনির কার্যকারিতা আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে গেলে তাকে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বলা হয়।
ডা. আয়েশা আক্তারের মতে, কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে বেশকিছু উপসর্গ বা লক্ষণ শরীরে স্পষ্ট হতে শুরু করে। যেমন-
১. প্রস্রাব কম বা বেশি হওয়া
২. প্রস্রাবে জ্বালা করা অথবা প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া বা ব্যথা অনুভব করা
৩. ঘন ঘন প্রস্রাব বা প্রস্রাবের দুর্গন্ধ হওয়া
৪. কোমরের দুই পাশে বা তলপেটে ব্যথা অনুভব করা
আরও পড়ুন: কিডনি সুস্থ আছে, জানা যাবে ২ টেস্টেই!
৫. শরীরের বিভিন্ন অংশে পানি জমা বা হাত-পা মুখ ফোলাফোলা ভাব
৬. শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি হওয়া
৭. বেশি ক্লান্তি লাগা বা বমি বমি ভাব
এছাড়া-
১। কিডনির সমস্যা হলে শরীর থেকে প্রোটিন বেশি বের হয়ে যায় তাই প্রস্রাবে ফেনা ভাব হয়। প্রস্রাবের রং লালচে হতে পারে।
২। কিডনির সমস্যার কারণে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীন হয়ে থাকে। তখন মাংসপেশিতে টান লাগতে পারে।
৩। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস শনাক্ত না হলে অথবা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে বা চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪। শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, চুল পড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: কিডনি ভালো রাখে এই ৩ ফল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ইউরিন ইনফেকশন, কিডনিতে পাথর বা প্রস্টেটের সমস্যা থাকলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। কারন এ রোগের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে।
তাই কিডনি সমস্যা থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত এক্সারসাইজ, সুষম ডায়েট লিস্ট ও সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
]]>