কিছুটা হতাশ, তবুও এই বাংলাদেশ নিয়ে গর্বিত সমিত

৩ সপ্তাহ আগে
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে সমিত সোমের। দেশের জার্সিতে প্রথমবার খেলতে নেমে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই কানাডিয়ান প্রবাসী। ম্যাচের পুরো সময়ে ৬টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন সমিত। তবে একজন গোল স্কোরারেরর অভাবটা এ ম্যাচেও স্পষ্ট ফুঁটে উঠেছে।

পুরো ম্যাচে দারুণ খেলেছেন সমিত সোম। গোলের জন্য ভালো কিছু বলও তৈরি করে দিয়েছেন। তবে কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। যদিও রাকিব হোসেন একটি গোল করেছেন, তাও কোনোমতে। 

 

এ নিয়ে অবশ্য কিছুটা হতাশ হয়েছেন সমিত। তবে বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসায় সে হতাশা অবশ্য উড়ে যাওয়ার কথা। ইনস্টাগ্রামে সমিত লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ বাংলাদেশ, প্রথমবারের মতো এই দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা এবং খেলার এক অসাধারণ অনুভূতি হয়েছে। ম্যাচে আমরা যা চেয়েছি, তা করতে পারিনি। তাই একটু হতাশ। তবে এই দলের অংশ হতে পেরে আমি দারুণ গর্বিত।’   

 

আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর এশিয়ান কাপের আশা কতটুকু বাংলাদেশের?

 

সমিত সোমের বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশি। তবে সমিতের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা কানাডায়। ২০২০ সালে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচও খেলেছেন ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। এ ছাড়া ক্লাব ফুটবলে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে খেলেন সমিত। 

 

 

গত ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ মাঠে বসেই দেখেছেন সমিত সোম। তবে সে ম্যাচে তাকে বিশ্রামে রেখেছিলেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে পথচলা শুরু হলো সমিতের। তবে আফসোস, অভিষেক ম্যাচটা জয়ে রাঙাতে পারেননি তিনি। 

 

আরও পড়ুন: এক বুক হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন দর্শকরা

 

জয় না পাওয়ায় অবশ্য আফসোস নেই সমিতের। বললেন, ‘আমার সতীর্থ, কোচিং স্টাফ, বাফুফের সব সদস্য এবং অবশ্যই ভক্তদের ধন্যবাদ আমাকে এভাবে গ্রহণ করার জন্য। সবে তো শুরু হলো।’ 

 

অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হংকং। সবকিছু ঠিক থাকলে ৯ অক্টোবর হংকংকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাটিতে তাদের বিপক্ষে খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেই ম্যাচ দুটি খেলতে আবারও ঢাকায় ফিরবেন সমিত।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন