ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবারের (২২ এপ্রিল) হামলার পর থেকে পহেলগামে বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে সৈয়দ আদিল হোসেন শাহ নামে একজন ছিলেন, যিনি পর্যটকদের ঘোড়ায় চড়ার ব্যবস্থা করতেন এবং হামলাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করার সময় তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।
পহেলগামের স্থানীয় দোকানি এবং হোটেল মালিকরা পরে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। তারা এনডিটিভিকে জানান, এখনও আটকে থাকা পর্যটকদের সব ধরনের সহায়তা দেবেন। যার মধ্যে ১৫ দিনের জন্য বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত।
আসিফ বুরজা নামের একজন হোটেল মালিক এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে হামলা /‘নারী-শিশুদের মারেনি, পুরুষদের মাথায় গুলি করেছে’
তিনি এনডিটিভিকে বলেন,
এটি পর্যটনের বিষয় নয়, অর্থনীতির বিষয় নয়, আমাদের মাথা লজ্জায় নিচু হয়ে গেছে। তাদের কী দোষ ছিল? তারা এখানে ভ্রমণ করতে এসেছিলেন। আমরা কেবল নিহতদের পরিবারের কথা ভাবছি।
পর্যটক এবং তাদের পরিবারের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছেন আরও একজন হোটেল মালিক।
অন্য একটি বিক্ষোভে অংশ নেয়া লোকেরা এনডিটিভিকে বলেছেন, তারা এ ধরনের হামলা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকবেন।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে হামলায় জড়িত ৩ সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ
এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, আমরা সম্পূর্ণরূপে সেনাবাহিনীর সাথে আছি। আমরা এটা সহ্য করব না। আমাদের মূলে আঘাত করা হয়েছে। আমরা মানুষ। এটা টাকা বা ব্যবসার বিষয় নয়।’
]]>