রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি আব্দুল মজিদের আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কক্সবাজার জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর ( পিপি ) মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ।
আসামি মোহাম্মদ রুহুল আমিন কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক ছিলেন।
মামলার বাদী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে আবারও কারাগারে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী
মামলার নথির বরাতে দুদকের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিরাজ উল্লাহ বলেন, বিগত ২০১৪ সালে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রুহুল আমিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে ২৩ কোটি টাকা আত্মসাত করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তি এ কে এম কায়সারুল হক বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি এজাহার দায়ের করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদকে প্রেরণ করেন।
পরে দুদক তদন্ত করে গত ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর নতুন করে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরবর্তীতে গত ২১ জানুয়ারি আদালত অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে প্রধান আসামি কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ সকল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, রোববার মামলার প্রধান আসামি রুহুল আমিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর
মামলার বাদী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মামলাটি দায়েরের পর প্রধান আসামিসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা নানা জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। এমনকি তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজকে বশীভূত করে এজাহারে পুনঃলিখন করে আসামির নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি নানা অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করেছেন। উল্টো বাদীকে হয়রানি করতে একাধিক মিথ্যা মামলাও দায়ের করেছেন।
এখন আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আদালতের কাছে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশাবাদী।