এদিকে পিটিআইও ঘোষণা দিয়েছে, শিগগিরই তারা আন্দোলন শুরু করবে। সরকার এতে বাধা দিলে তার জবাব দেয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে দলটি। ফলে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পাকিস্তানের রাজনীতি।
বুহস্পতিবার (৩ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেয়া এক পোস্টকে কেন্দ্র করে ফের আলোচনায় এসেছেন কারাবন্দি ইমরান খান।
পোস্টে ক্ষমতাসীন শেহবাজ শরিফ সরকার সংসদে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘একটি ভুয়া সংসদের মাধ্যমে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী আনার আনুষ্ঠানিকতায় না গিয়ে প্রকাশ্যে রাজতন্ত্র ঘোষণা করাই ভালো হবে। কারণ দেশে আজ যা আছে তা হলো সরাসরি একনায়কতন্ত্র, যা জোর করে দেশের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
সেই সঙ্গে সংবিধানের ২৭তম সংশোধনী রুখতে শেহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ইমরান খান। আশুরার পরই দেশের সব নাগরিক, বিশেষ করে তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআই’র কর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, বর্তমান সরকারের দাসত্ব মেনে নেয়ার চাইতে কারাগারের অন্ধকারেই থাকতে চান। অভিযোগ করে বলেন, তার কণ্ঠরোধের সব চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে তার বার্তা জনগণের কাছে না পৌঁছায়। তার ভাষ্যে,
এক মাফিয়া গোষ্ঠী পুরো জাতিকে দাস করে রাখতে চায়। আমি অন্ধকার কারাগারে নির্জন কারাবাস সহ্য করতে ইচ্ছুক, কিন্তু আমি কখনই দাসত্ব মেনে নেব না।
পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরেরও কঠোর সমালোচনা করেন ইমরান। বলেন, যখন এক স্বৈরশাসক ক্ষমতায় আসে, তখন ভোটের প্রয়োজন হয় না, তারা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে শাসন করে। তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সঙ্গে দেখা না করে আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাত করে প্রমাণ করেছেন পাকিস্তানের আসল ক্ষমতা কার হাতে।
আরও পড়ুন: আল্লামা জাফরির হুঁশিয়ারি / ইরানে হামলা হলে পাকিস্তানে কোনো মার্কিনি থাকবে না
ইমরানের এমন ঘোষণার পর পাকিস্তানজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছে পিটিআই। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা গণমাধ্যমকে জানান, আশুরা শেষেই তারা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করবে, তবে সরকার বাধা দিলে তার জবাব দেয়ার প্রস্তুতিও থাকবে।
]]>