ঢাকার আলোচিত সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, শনিবার (৩০ নভেম্বর) কারওয়ান বাজার এলাকায় সন্ধ্যার পর তাকে দেখে স্থানীয়রা ঘিরে ধরার পর পুলিশ মুন্নী সাহাকে থানায় নিয়ে যায়।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেনকে উদ্ধৃত করে ঢাকার সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো লিখছে, "সাংবাদিক মুন্নি সাহা শনিবার রাত ১০টার দিকে জনতা টাওয়ারের অফিস থেকে বের হওয়ার পর স্থানীয় কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।"
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, মুন্নী সাহাকে আটক করার পর সেখানে তার বিচারের দাবিতে স্লোগান শোনা গেছে।
মুন্নী সাহা 'এক টাকার খবর' নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক ছিলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরে একাধিক মামলায় আসামীর তালিকায় মুন্নী সাহার নাম এসেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিককে জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের নামে এভাবে হত্যা মামলা দেওয়ার প্রবণতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে বলে বিবৃতি দিয়েছে সম্পাদক পরিষদ।
নভেম্বরের ২০ তারিখ 'দ্য ডেইলি স্টার'কে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেখানে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ঘটনায় করা হত্যা মামলা নিয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে ভিত্তিহীন হত্যা মামলা দায়ের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস জুলাই-অগাস্ট হত্যা মামলায় ১৪০ জনের বেশি সাংবাদিকের নাম আসার বিষয়টি ‘পুরোনো আইন ও চর্চা’র ফল বলে মন্তব্য করেন। তড়িঘড়ি করে মামলা করতে গিয়ে এমনটি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এ ধরনের মামলা করা বন্ধে তার অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ওই সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস আশ্বস্ত করেন। পাশাপাশি যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তি আছে কি না, তা একটি কমিটি পরীক্ষা করে দেখবে বলে জানান তিনি।
২১ নভেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আরএসএফ, হত্যা মামলায় সাংবাদিকদের জড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে। সেই সঙ্গে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাঠামোগত সংস্কারের পথে এগিয়ে যেতে তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।