এদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদক বারাক রাভিদ বলেছেন, হামাস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি গুপ্তহত্যার চেষ্টার অংশ হিসেবে দোহায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই হামলা চালানো হয়। ইরাকি নেটওয়ার্ক সাবরি নিউজ জানিয়েছে, দোহায় হামাসের সদর দফতর লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে গাজার একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাস নেতারা লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, দোহায় অভিযানটি হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা সিটি খালি করার নির্দেশ, নেতানিয়াহু বললেন ‘এটা কেবল শুরু’
হামাসের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, দোহায় গ্রুপটির আলোচনার সদর দফতর লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
কেউ কেউ বলছেন, ১০টিরও বেশি বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন হামাস নেতা এবং আলোচক খলিল আল-হায়া হামলার প্রাথমিক লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
ইসরাইলি হিব্রু গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির জন্য সর্বশেষ মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য কাতারে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সময় হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হামাসের সূত্র আল-জাজিরাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় যাওয়ার সময় গ্রেটা থুনবার্গের নৌকায় আগুন
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীও (আইডিএফ) হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক এক্স পোস্টে বলেছে, আইডিএফ ও আইএসএ (ইসরাইল সিকিউরিটি এজেন্সি) হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে একটি সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে।
তবে হামলার ঘটনায় হতাহতের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। হামাসের একটি সূত্রের বরাতে আল মায়াদিন জানিয়েছে, দোহায় ইসরাইলি হত্যা প্রচেষ্টায় হামাসের আলোচক প্রতিনিধিদল বেঁচে গেছে।
]]>