গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গাজায় মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সময কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের একটি অফিস ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।
ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
ইসরাইলের ওই হামলার পর গাজা যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই হামলাকে একতরফা বলে উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুন: কাতারে ইসরাইলের হামলার প্রতিক্রিয়া জানাল হামাস
ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের খসড়া করা ওই বিবৃতিতে ইসরাইলের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। তবে বলা হয়, পরিস্থিতি প্রশমন অত্যন্ত জরুরি এবং কাতারের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সংহতি প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে জোর দেয়া হয়, গাজায় যুদ্ধ ও ভোগান্তি বন্ধ করা এবং জিম্মিদের মুক্তি, যাদের মধ্যে কয়েকজন হামাসের হাতে নিহত হয়েছেন, এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
মঙ্গলবারের এই নজিরবিহীন হামলায় পাঁচজন হামাস সদস্য নিহত হন। তবে ফিলিস্তিনি সংগঠনটি জানিয়েছে, তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছে। এ ঘটনায় এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। এতে পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা তীব্রভাবে বেড়ে গেছে।
এদিকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জমিস আল-থানি বলেছেন, ইসরাইলি আগ্রাসনের অবশ্যই জবাব দেয়া হবে আর সেটা দেয়া হবে পুরো আরব অঞ্চলের পক্ষ থেকে সমন্বিতভাবে।
আরও পড়ুন: ফোন রেখে নামাজে যাওয়াতেই কি বেঁচে গেলেন হামাস নেতারা?
বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতারি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুরো অঞ্চল থেকে একটি প্রতিক্রিয়া আসবে। এই প্রতিক্রিয়া বর্তমানে এই অঞ্চলের অন্যান্য অংশীদারদের সাথে আলোচনা এবং পরামর্শের অধীনে রয়েছে।’
ইসরাইলের হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তীব্র নিন্দার মধ্যে জরুরি আরব-ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছে কাতার। আগামী রোববার ও সোমবার কাতারের রাজধানী দোহায় এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
]]>