কাতারে ইসরাইলের হামলায় শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেলেও নিহত ৬, দাবি হামাসের

৩ সপ্তাহ আগে
কাতারে হামাসের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো ইসরাইলের হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারে রাজধানী দোহায় এই হামলা চালায় ইসরাইল।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, ইসরাইলের বিমান হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া নিহতদের মধ্যে কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাও আছেন।

 

তবে হামাসের দাবি, তাদের আলোচক দলকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

 

আরও পড়ুন:ইসরাইলের হামলার আগে ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন, হোয়াইট হাউসের দাবি অস্বীকার কাতারের


একইসঙ্গে কাতার ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে একে কাপুরুষোচিত এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে হামাস। 


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতার এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র, কারণ এখানেই একটি প্রধান মার্কিন বিমান ঘাঁটি অবস্থিত। কাতার অনেক দিন ধরেই গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন সমর্থিত একটি প্রস্তাবে মধ্যস্থতা করে আসছে।  

 

হামাস জানায়, দোহার একটি আবাসিক ভবনে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য সর্বশেষ মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার জন্য আলোচনাকারী দলটি বৈঠক করছিল, ঠিক সেই সময় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ চালানো হয় এবং এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

দোহার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তারা মঙ্গলবার বিকেলে আটটি পৃথক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন, শহরের উত্তরাঞ্চলীয় কাটারা জেলার উপরে ব্যাপক ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়ছিল তখন। 

 

এদিকে, উপসাগরীয় রাষ্ট্রটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত এবং অন্যরা আহত হয়েছেন, তবে হামাসের কোনো হতাহতের কথা উল্লেখ করা হয়নি।


এদিকে, কাতারের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন,  আমি এ ঘটনায় রোমাঞ্চ বোধ করছি না। আমি আসলে পুরো পরিস্থিতি নিয়ে রোমাঞ্চিত নই। এটা ভালো পরিস্থিতি নয়।

 

আরও পড়ুন:কাতারের দোহায় ইসরাইলের হামলা, হামাস নেতাদের গুপ্তহত্যার চেষ্টা

 

ট্রাম্প আরও বলেন, এটা ঠিক যে, আমরা জিম্মিদের ফেরত চাই, কিন্তু এভাবে না। আজ যেভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তাতে আমরা রোমাঞ্চিত নই। গণমাধ্যমকে বলেন ট্রাম্প।


 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন