কাতনি বিলে গোলাপি পদ্মের আভায় হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমীরা

১ দিন আগে
সবুজ পাতার গালিচায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গোলাপি রঙের অপার সৌন্দর্য। ঢেউ খেলা জলের বুকে আকাশমুখি পদ্মফুল যেন প্রকৃতির এক নিঃশব্দ উৎসব। নীল আকাশ, পাখির ডাক আর বাতাসে ভেসে আসা পদ্মের মৃদু সৌরভে মোহিত হয়ে পড়ে হৃদয়। এ যেন এক অন্যরকম ভুবন— আর এমনই এক ভুবনের নাম কাতনি বিল।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত কাতনি বিল এখন পরিচিতি পেয়েছে ‘পদ্মবিল’ নামে। বর্ষা এলেই প্রায় ১০ একরজুড়ে নিজস্ব নান্দনিকতায় প্রাকৃতিকভাবে ফুটে ওঠে হাজার হাজার গোলাপি পদ্মফুল। এই বিল এখন প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে শুধু পদ্মের এই অনন্য সৌন্দর্য একনজর দেখার আশায়।


প্রতিদিন কাতনি বিলে ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী। কেউ হাঁটছেন বিলের পাড় ধরে, কেউবা সপরিবারে ছোট ডিঙি নৌকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ফুলের ভেতর দিয়ে। কেউ শুধু সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, আবার কেউ তুলছেন সাদা আর গোলাপি রঙের মিশ্রণে ফুটে থাকা পদ্ম। এই পদ্মবিল যেন নগরজীবনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়ে টেনে নিচ্ছে প্রকৃতির কোলে।


 

আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে আছে পদ্মফুলেরা। ছবি: সময় সংবাদ


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাঁচ বছর ধরে এই বিলে স্বাভাবিকভাবেই পদ্মফুল ফুটছে। শুকনো মৌসুমে যেখানে বোরো ধানের চাষ হয়, বর্ষা নামলেই সেই পতিত বিল রূপ নেয় এক ফুলের রাজ্যে। স্থানীয় দরিদ্র নৌকার মাঝিদের জন্যও এটি তৈরি করেছে আয়ের নতুন পথ। পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে কেউ চালাচ্ছেন নৌকা, কেউ বিক্রি করছেন ফুল বা নাশতা।


আরও পড়ুন: এ যেন শাপলার স্বর্গরাজ্য!


কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘কাতনি বিলে প্রতি বছর প্রাকৃতিকভাবে হাজার হাজার পদ্মফুল ফুটে। বর্ষায় অনেক মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। এটি পর্যটনের সম্ভাবনাময় একটি স্থান।’

সবুজের কোলে বেড়ে ওঠা পদ্মফুল ডেকে চলেছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। ছবি: সময় সংবাদ


পর্যটনের দৃষ্টিকোণ থেকে কাতনি বিল এখন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে এটি পরিণত হতে পারে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। এমন সৌন্দর্য বাংলাদেশের প্রতিটি প্রকৃতিপ্রেমীকের জন্য নিঃসন্দেহে এক অফুরন্ত আনন্দের ঠিকানা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন