কাজ শেষের আগেই ভেঙে ফেলতে হলো সেতুটি

৩ সপ্তাহ আগে
নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা এবং সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় পিরোজপুরের নেছারাবাদে একটি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই সেটিকে ভেঙে ফেলতে হয়েছে।

উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি ইউনিয়নের ভাদুরা খালের উপর সেতুটি ভেঙে ফেলছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। তবে সংস্থাটি কাজ শুরু করার আগেই মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করেই এ ব্রিজটি ধসে পড়ে।
 

 

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি খ্রিস্টানপাড়া হতে মাদ্রাবাজার সড়কের ওপর একটি প্যাকেজে ২২ ও ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দুইটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২৯  ডিসেম্বর মেসার্স ইফতি ইটিসিএলকে কার্যাদেশ দেয় পিরোজপুর এলজিইডি। যার চুক্তি মূল্য ছিল ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্রিজ দুইটি নির্মাণ কাজ শেষ হ‌ওয়ার কথা ছিল।
 

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মিরাজুল ইসলাম নিজে কাজ না করে একজন সাব কন্ট্রাক্টরকে দিয়ে কাজ করাচ্ছিলেন। তবে কাজের নিম্নমান এবং সিডিউল মেনে না করার কারনে স্থানীয়রা কাজে বাধা দেন। 


আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন নতুন ভবনের কাজে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন


পরবর্তীতে আরেক সাব কন্ট্রাক্টর গত বছরের শেষ দিকে গার্ডার ছাড়াই সেতুটির ছাদ ঢালাই দেয়। তবে এর কিছুদিন পরে ঢালাই দেওয়া অংশে ত্রুটি দেখা দেয়। তখন স্থানীয়দের আপত্তির মুখে এলজিইডি তদন্ত করে সেতুটির ঢালাই দেওয়া অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই অনুযায়ী গত সোমবার সেতুটির ত্রুটিপূর্ণ অংশটির অপসারণ শুরু করে।
 

স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সেতু নির্মাণে অকল্পনীয় দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে।
 

এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী মো. রায়সুল ইসলাম জানান, কাজ নিয়ম অনুযায়ী না করার কারণে পুরো স্লাব (ছাদ) ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণ কাজ করতে হবে।
 

তিনি আরও বলেন, মূল ঠিকাদারকে পাওয়া না যাওয়ায় কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। পিরোজপুর এলজিইডি থেকে কাজ না করেই কয়েক হাজার কোটি আত্মসাৎ করে মিরাজুল ইসলাম এবং তার সহযোগীরা। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপনে রয়েছে মিরাজুল।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন