বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এমন দুর্ভোগে আছেন এসব মানুষ। তাদের অনেকেই আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনো খাবার রান্না করতে পারেননি।
একই দুর্ভোগে পড়েছেন পাশের মাঝের হাওলা গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবার। ওই গ্রামের রিং বাঁধ জোয়ারের চাপে ভেঙে গেলে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় এলাকা। ঘরের ভেতর পানি উঠে যায়, রান্না-বান্না, যাতায়াতসহ দৈনন্দিন কাজকর্ম অচল হয়ে পড়ে।
গ্রামের বাসিন্দা হালিমা বেগম বলেন, ‘বাড়ির ভেতর হাঁটু পানি। রান্না করা যায় না। ছোট ছেলেমেয়েরা কষ্টে আছে। কেউ খোঁজও নেয় না।’
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী থেকে বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালীর ২ লাখ মানুষ, তিন দিন ধরে নেই বিদ্যুৎ
অন্যদিকে, ‘বেড়িবাঁধের বাইরের পশ্চিম লোন্দা গ্রামের প্রায় ২৫০ পরিবারও গত দুই দিন ধরে অস্বাভাবিক জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে দুই দফা প্লাবিত হয়েছেন। এসব এলাকার মানুষ রাত-দিন আতঙ্কে থাকছেন।’
জরুরি সহায়তা ও দ্রুত পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘ঘরেও পানি, বাইরে বের হলে হাঁটু পানি। এই অবস্থায় কীভাবে বাঁচব?’
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পানিবন্দি পরিবারের খোঁজ নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে শুকনা খাবার বিতরণ শুরু করা হবে।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করে দ্রুত সহায়তা চাওয়া হয়েছে।