পাচারকাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বন্যপ্রানী সংরক্ষণ আইনে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রোববার (১৫ জুন) ভোরে চিনাহালা-বরুয়াকোনা সীমান্ত সড়কের চিনাহালা ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিভিন্ন চোরাচালানের সঙ্গে তক্ষকসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের চিনাহালা-বরুয়াকোনা সড়কের চিনাহালা ব্রিজ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। এ সময় (ঢাকা মেট্রো-চ ১২-৬৭২৫) নং মাইক্রোবাসটি থামিয়ে তল্লাশি করলে গাড়ির ভেতর থেকে একটি তক্ষক উদ্ধার এবং সঙ্গে থাকা ৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের সহায়তাকারী হিসেবে স্থানীয় আরও তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।
তারা হলেন, নরসিংদী সদরের মো. শফিকুল ইসলাম (৫০), তানভরি হাসান (২৫), মো. শাকিল মিয়া (২৭), এস এম শিবলুর রহমান (৪৪), মানিকগঞ্জের নুরুল ইসলাম (৪৩), নরসিংদীর আসমত আলী (৪৫), আব্দুল আজিজ (৬০), বরিশালের আব্দুল জলিল (৬৩), নরসিংদীর ফয়সাল (২৭)। এছাড়া কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরার স্থানীয় আলম, খালেক ও সুমন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির দুই নেতা আটক
রোববার দুপুরে কলমাকান্দা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানান, আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদের সহায়তাকারী স্থানীয় আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। গাড়িতে থাকা নয়জনের মধ্যে সকলেই নরসিংদী, মানিকগঞ্জ ও বরিশালের বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা। মামলার পর তাদের নেত্রকোনা আদালতে সোপর্দ করা হবে।
অন্যদিকে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, তক্ষক পাচারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচারচক্র জড়িত থাকার আশঙ্কাও রয়েছে। এর আগেও এই সীমান্ত এলাকা থেকে পাচারকালে তক্ষক উদ্ধারসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাদিক বলেন, ‘বন্যপ্রাণী চোরাচালান বন্ধে আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশের জব্দকৃত তক্ষকটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।