দেশের শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে সংগঠনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম, নৈতিকতা ও শুদ্ধ সংস্কৃতির আলোকে গড়ে তুলতে শিল্পী, অভিনেতা, সংগঠক ও নির্দেশক তৈরির জন্য নিয়মিতভাবে নানা প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।
শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত চার মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মশালার সমাপনী, সনদ বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে ক্বিরাত, ইসলামী গান, আবৃত্তি , উপস্থাপনা ও থিয়েটারের কর্মশালায় অংশ নেয়া শিশু-কিশোররা অংশ নেয়।
সাইমুম শুধু ইসলামী গান ও থিয়েটারই সীমাবদ্ধ নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমও শেখায়। তাই সন্তানদের নির্ধিদায় এই সংগঠনে সম্পৃক্ত করার আহ্বান অভিভাবকদের।
সাইমুমের দীর্ঘদিনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন সংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আব্দুল্লাহ খান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়ারেস হোসেন ও সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য সিবগাতুল্লাহ। আগামী দিনের জাতি গঠনে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালনে সাইমুমকে আরও সংগঠিত ও প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেল সেই আছিয়াকে নিয়ে বাপ্পা মজুমদারের ‘মাগুরার ফুল’
অনুষ্ঠানের সভাপতি গীতিকার ও সুরকার তাফাজ্জল হোসাইন খান ও সংগঠনের পরিচালক জাহিদুর রহমান জানালেন, সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী কচিকাঁচাদের আগামী দিনের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তুলছে।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অন্তর্বর্তী সরকারের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বলেন, বিগত দিনগুলোতে সাইমুমসহ অনেককে শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়নি। জুলাই আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশে এই বৈষম্য দূর হয়ে আগামী দিনগুলোতে সাইমুমের জন্য উন্মুক্ত থাকবে সব সুবিধা।
কর্মশালায় ক্বিরাত, গান, অভিনয়, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা বিষয়ে ৭৭০ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেন। এদের মধ্য থেকে ৪৬৪ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক বাছাই করা হয় প্রশিক্ষণের জন্য। চুড়ান্ত পরীক্ষায় ৩৭১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। আর সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ২২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীতে ভর্তির জন্য বাছাই করা হয়।