কর্মজীবী নারীদের ঋতুস্রাবের সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কতটা নিশ্চিত?

১ সপ্তাহে আগে
ওয়ার্ল্ড মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে বা বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ বুধবার (২৮ মে)। ঋতুকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে এই দিনটিতে বিশ্বজুড়ে নানা কার্যক্রম হলেও, দেশে কর্মক্ষেত্রে অধিকাংশ নারীকেই প্রতিনিয়ত লড়তে হয় মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। মাঠে কাজ করা নারীদের জন্য এই লড়াই আরও জটিল। কর্মজীবী নারীদের ঋতুস্রাবের সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কতটা নিশ্চিত?

অফিস, রাস্তাঘাট কিংবা মাঠপর্যায়ে প্রতিটি জায়গায় নারীদের লড়াই শুধু পেশাগত নয়, শারীরিক ও মানসিকভাবেও লড়াই করে যেতে হয় তাদের। বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে নেই বিশ্রামাগার, নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের সুযোগও। কর্মক্ষেত্রে তাই ঋতুস্রাব হলে নারীরা মুখোমুখি হন নানা বাস্তবতার।


একজন নারীর জীবনে প্রায় ৩,৫০০ দিন পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এইদিনগুলোতে স্বাস্থ্যসেবার যে নিয়মকানুন মানতে হয় তা থেকে এখনো বঞ্চিত অনেকে।


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জাতীয় স্বাস্থ্যবিধি জরিপ ২০১৮ এর প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে মাত্র ২৯ শতাংশ স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন।

 

আরও পড়ুন: পিরিয়ডের ব্যথা কমবে ঘরোয়া ৫ উপায়ে


বর্তমানে কিছু প্রতিষ্ঠান নারী কর্মীদের জন্য রাখছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন। তবে সব জায়গার চিত্র এক নয়। মাঠ পর্যায়ের কাজ করা অনেক নারী কর্মীই বলছেন, তারা ঋতুস্রাব চলাকালীন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। সময়মতো স্যানিটারি ন্যাপকিন বদলানোর সুযোগও পান না অনেকে। আবার অনেকে এ বিষয়ে সহকর্মীকে বলতে সংকোচ বা দ্বিধাবোধ করেন।


দীর্ঘক্ষণ এক স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করলে একজন নারীর জরায়ু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। হতে পারে ইউরিন ইনফেকশন, ফাঙ্গাল র‍্যাশসহ নানা সমস্যা।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সুস্থ সমাজের জন্য ঋতুস্রাব সম্পর্কে লুকোচুরি না রেখে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতিগত সহায়তাই পারে নারীকে মাসিককালীন বিভিন্ন রোগ থেকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিতে।

 

আরও পড়ুন: পিরিয়ড অনিয়মিত? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান


একজন নারীকে অফিস, কারখানা বা বাসার কাজ সব সামলে নিতে হয় শরীরের স্বাভাবিক এ চক্রকে নিয়েই। তলপেটে তীব্র ব্যাথাসহ এই সময়টাতে অনেকেই ভোগেন নানা সমস্যায়। কিন্তু তখনও যদি না মেলে বিশ্রাম, পরিচ্ছন্ন টয়লেট বা স্যানিটারি ন্যাপকিন, তবে নারীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি কেবলই কথার কথা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন