পদক্ষেপ হিসেবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়াও মেডিকেল টিম গঠন করেছে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেই সাথে প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেশন ব্যবস্থা।
বুধবার (১৮ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের পর ইমিগ্রেশন পুলিশের যাবতীয় কাজের শুরুতেই যাত্রীদের নেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর। গত কয়েকদিনের মধ্যে জ্বরসহ অন্য কোন রোগ দেখা দিয়েছে কি না তা যাচাই-বাছাই করছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। হেলথ স্কিনিং ডেক্সে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অনুমতি মিলছে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রমের। এমন চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে। বিশ্বের কয়েকটি দেশসহ ভারতে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে বসানো হয়েছে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাকেন্দ্র।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে, বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে ভারত থেকে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদেরকে সচেতন থাকতে ও মাস্ক পরিধান করতে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহারের প্রতি উদ্বুদ্ধ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আরও পড়ুন: মৃত্যুহীন দিনে বাড়ল করোনা শনাক্ত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. একেএম সাহাব উদ্দিন, ভারত থেকে যাত্রীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। কারো দেহে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের কোন উপসর্গ পাওয়া গেলে তাকে আলাদাভাবে আইসোলেশন করে চিকিৎসার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এছাড়াও সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার জন্য বলা হচ্ছে।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। ভারত ফেরত যাত্রীদের স্ক্যানিং ছাড়াও দেহের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বর্তমানে দৈনিক ১০০-১৫০ জন যাত্রী ভারত যাওয়া-আসা করে।