গত সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা থেকে আসা দুজন কোভিড পজিটিভ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
জানা গেছে, ২০২০ সালের এপ্রিলে কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি একতলা ছোট ভবনে পিসিআর ল্যাবের যাত্রা শুরু হয়। গণপূর্ত বিভাগের জায়গায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে সেখানে কুষ্টিয়াসহ আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের করোনাভাইরাস শনাক্তের কাজ চলতো। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার পর পিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল ল্যাবটি। মাস খানেক আগে চুরির বিষয়টি টের পায় সংশ্লিষ্টরা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার হোসেন ইমাম জানান, চুরির ঘটনায় পিসিআর ল্যাবের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থানায় পেছনের জানালার গ্রিল কেটে ১টি পিসিআর মেশিন, ৫টি এসির আউটডোর, একটি ইনডোর, কম্পিউটার চুরিসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যর তদন্ত কমিটিও রিপোর্ট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের করোনা আতঙ্ক, নতুন ভ্যারিয়েন্টে ঝুঁকিতে কারা?
পিসিআর ল্যাবের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট খাইরুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনার পর পিসিআর ল্যাবের বাকি যন্ত্রাংশগুলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও পিসিআরল্যাবের তত্ত্বাবধায়ক নাজমিন নাহার বলেন, ‘কীটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এলেই আবারও কোভিড পরীক্ষা চালু হবে। একটি যন্ত্রাংম চুরি হলেও এখনও ৩টি যন্ত্রাংশ রয়েছে। আমরা করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।’
মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় আইশোলেসন ওয়ার্ডগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা থেকে আসা দুজন কোভিড পজিটিভ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন জানালেন মেডিসিন বিভাগের এই চিকিৎসক।
২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে এ জেলায় কোভিডে মারা গেছেন ৮৫৫ জন। আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ হাজারের মতো রোগী। এখন থেকে সতর্ক না হলে করোনার মহামারি দেখা দিতে পারে এ জেলায়। তাই একমাত্র পিসিআর ল্যাবটি দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ।