করিডর নিয়ে এত লুকোচুরি কেন, প্রশ্ন আমীর খসরুর

১ সপ্তাহে আগে
মিয়ানমারের রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ গড়ে তোলার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের লুকোচুরি মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ভূ-রাজনৈতিক নিরাপত্তা: প্রেক্ষিত মানবিক করিডর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন তিনি।


আমীর খসরু বলেন, করিডর নিয়ে এই সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই। দুই সার্বভৌম রাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি অথবা নিরাপত্তা কাউন্সিলে পাস না হলে এ বিষয়ে জাতিসংঘের ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই।


করিডর নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার নয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, করিডর নিয়ে সরকারের অবস্থান এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। তারা কী চায় বোঝা যায় না। প্রথমে অস্বীকার করলেও সরকার পরবর্তী সময়ে করিডর নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে। কাতারেও আলোচনা করছে। এত গোপনীয়তার কী আছে?


করিডরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই দাবি করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, করিডর বিতর্কিত হওয়ার পর এখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে চ্যানেলের কথা। এই দুটির মধ্যে টেকনিক্যাল পার্থক্য আছে। তা করতে চাইলেও সরকারের পরিষ্কার করা উচিত।
 

আরও পড়ুন: সংকট থেকে মুক্ত হওয়ার পথ একটাই, নির্বাচিত সরকার ও সংসদ: আমীর খসরু


তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে রাষ্ট্রের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্য রাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষা করেছে এই সরকার সেদিকে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


মিয়ানমারে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে উল্লেখ করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, আরাকান আর্মির মাধ্যমে করিডর দিয়ে রোহিঙ্গাদের কেন ফেরত পাঠাতে হবে। শর্ত সাপেক্ষে কেন রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে। সম্মানজনকভাবে দেশে ফেরা রোহিঙ্গাদের অধিকার।


বাংলাদেশের নানা অনুষ্ঠানে আরাকান আর্মি অংশ নিচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, আরাকান আর্মি চাইনিজদের একটি গ্রুপের সহায়তায় সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত। আরাকান আর্মির সঙ্গে এই চুক্তির গ্যারান্টি কে দেবে? বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। পাওয়ারের (ক্ষমতা) কম্পিটিশনে ভিকটিম হওয়া যাবে না।


নির্বাচন থেকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্যই করিডর ইস্যু সামনে আনা হতে পারে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, জনগণের সরকারের দিকে না গিয়ে, রোডম্যাপ ঘোষণা না করে আর সবকিছু করছে সরকার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন