এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিশ্ব বাণিজ্যে বিভিন্ন সুযোগ হারাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি নিজস্ব শিল্প সুরক্ষায় যে আগ্রাসী শুল্ক আরোপ করা আছে তা ধীরে ধীরে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। এর অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত বাজেটে পাঁচ শতাধিক পণ্যে আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণা এসেছে। এছাড়াও বিভিন্নখাতে করা হয়েছে শুল্ক যৌক্তিকীকরণের প্রস্তাব। বাজেটে এমন উদ্যোগের বিপরীতের উদ্বিগ্ন স্থানীয় উৎপাদকরা।
তাদের দাবি, শুল্ক সুবিধা তুলে দিলে বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় চাপে পড়তে পারে দেশীয় শিল্পখাত। বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সহসভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, যে মেশিন বাইরে থেকে ২ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আমদানি করা যায়, সেটিই দেশে উৎপাদন করতে ৩০-৪০ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হলে উৎপাদন খরচই ওঠানো কষ্ট। এতে বাড়বে পণ্যের দাম।
আরও পড়ুন: বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবে খুশি তরুণ উদ্যোক্তারা
ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, কোনো পণ্যের কাঁচামালে ট্যাক্স না থাকলে পণ্যের দামও কম হবে। তবে কাঁচামালে খরচ বাড়বে পণ্যের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই স্থানীয় শিল্পে দেয়া সুবিধাগুলো উঠিয়ে নেয়া উচিত হবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে উৎপাদিত হয় এমন বিদেশি পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাবে এ সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। কর অবকাশ সুবিধা না বাড়ানো ও শুল্ক হ্রাসে স্থানীয় শিল্পের সুরক্ষা কমছে বলে মনে করছেন তারা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, দেশি শিল্পকে সুরক্ষা দিতে হবে। কারণ দেশে উৎপাদন না হলে, দেশের মানুষের কর্মসংস্থান না হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না।
আগের সরকারের ধারাবাহিকতায় এলডিসি উত্তরণে নেয়া পদক্ষেপগুলো বিশ্ব বাণিজ্যে প্রতিযোগিতায় স্থানীয় শিল্পগুলো যথেষ্ট প্রস্তুত কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে সংশ্লিষ্টদের মাঝে।
]]>