কমলো রুপার দামও, ভরিতে কত?

৪ সপ্তাহ আগে
স্বর্ণের পর এবার দেশের বাজারে কমলো রুপার দামও। ভরিতে ৩৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা।

শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। রোববার (৪ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।


বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে রুপার মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রুপার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: স্বর্ণের দামে আবারও বড় পতন, ভরি কত?


নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের রুপার দাম পড়বে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৭২৬ টাকা।


বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, রুপার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।


এর আগে সবশেষ চলতি বছরের ২২ এপ্রিল সমন্বয় করা হয়েছিল রুপার দাম। সে সময় ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২৬৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৮৪৬ টাকা।


এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৭১৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা। যা কার্যকর হয়েছিল গত ২৩ এপ্রিল থেকে।


এ নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয় বারের মতো সমন্বয় করা হলো রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ১ বার, আর কমেছে ১ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।

 

আরও পড়ুন: কোনদিকে যাচ্ছে স্বর্ণের বাজার?


এদিকে, ভরিতে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা কমিয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬১ হাজার ৩০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ২৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


এ নিয়ে চলতি বছর ২৭ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ১৯ বার, আর কমেছে মাত্র ৮ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন