কম দামের বাজারেও আগাম আলু চাষে ব্যস্ত নীলফামারীর চাষিরা

২ সপ্তাহ আগে
মৌসুমের শুরুতেই এবার ব্যাপক হারে আগাম আলু রোপণ শুরু করেছেন নীলফামারীর কৃষকরা। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে শুরু হলেও পুরো অক্টোবরজুড়ে চলবে এ কার্যক্রম। কম খরচে বেশি আলু উৎপাদনের লক্ষ্যে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ধান কেটে জমি ফাঁকা হতেই আগাম আলু রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত শুরু করেছেন চাষিরা। জমিতে সার ও কীটনাশক ছেটানো, সারিবদ্ধভাবে লাইন ঠিক করা, বীজ আলু বসিয়ে দুই পাশে মাটি দিয়ে বেধে দেয়া এবং রোলার দিয়ে মাটি চাপ দেয়ার মতো নানা পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 

বীজ আলু রোপণের ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এই আলু ঘরে তোলা যাবে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত চলবে এই আগাম আলু রোপণের কার্যক্রম। কৃষকেরা জানান, যদিও শুরুতেই সারের সংকট এবং বাজারে আলুর দাম কম, তবু জমি ফাঁকা রাখা সম্ভব নয়। লাভ কম হলেও আলু লাগাতেই হবে, সম্ভব হলে ক্ষতি অন্য ফসল দিয়ে পুষিয়ে নিতে হবে।

 

আরও পড়ুন: দাম না থাকায় হিমাগারে আটকে ৭০ শতাংশ আলু, নষ্টের আশঙ্কা বাড়ছে

 

এদিকে, আগাম আলুর কারণে কাজ পাচ্ছে শ্রমিকেরা। তারা বলেন, কৃষকরা আগাম আলু চাষ করায় কাজ মিলছে। প্রতিদিন মিলছে ৫০০ টাকা করে।

 

কীভাবে ফলন বাড়ানো ও উৎপাদন খরচ কমানো যায়, রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসাবে কেঁচো সারের ব্যবহার বাড়ানোসহ নানা ধরনের কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা মো. লোকমান আলম বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে আলু চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যাতে কৃষকরা সঠিকভাবে চাষ করে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে পারেন। পাশাপাশি আলুর ফলন কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটির বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মতো এবারেও নীলফামারীতে আগাম আলু চাষ হবে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু কিশোরগঞ্জেই চাষ হবে ৬ হাজার ৬৬০ হেক্টর। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন