কন্যাসন্তান হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে মিষ্টির প্যাকেটে ইটের গুঁড়া দেয়ার অভিযোগ

১০ ঘন্টা আগে
কন্যাসন্তান জন্মের পর শ্বশুরবাড়িতে মিষ্টির বদলে একটি প্যাকেটে মাটি ও ইটের গুঁড়া পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে জামাই মোকছেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বড় ধনতোলা এলাকায়।

রোববার (১৫ জুন) ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা।

 

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড় ধনতোলার সাহেব আলী ওরফে সব্দুল হকের ছেলে মোকছেদুল ইসলামের সঙ্গে একই ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকার আফতার আলীর মেয়ে আছমা খাতুনের বিয়ে হয় এক বছর আগে। সম্প্রতি আছমা খাতুন একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।

 

পরে বুধবার (১১ জুন) সকালে মোকছেদুল ইসলাম শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শাশুড়ির হাতে একটি মিষ্টির কার্টন তুলে দেন। পরিবারের সদস্যরা কার্টন খুলে দেখতে পান, সেটিতে কোনো মিষ্টি নেই রয়েছে মাটি ও ইটের গুঁড়া।

 

সন্তানের মা আছমা আক্তার বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামী আমাকে মারধর করতেন। পরিবারের কাছে টাকা চাইতেন, না পেলে নির্যাতন করতেন। গর্ভে সন্তান এসেছে জানার পর বলতেন, ছেলে হলে সুখ, মেয়ে হলে দুঃখ।’

 

আরও পড়ুন: তুরস্ক প্রবাসী পরিচয়ে বিয়ে, ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা যুবক!

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে সন্তান জন্মের পর তিনি মিষ্টির প্যাকেট হাতে বাড়িতে আসেন। সবাইকে মিষ্টি খাওয়াতে গিয়ে দেখা যায়, প্যাকেটে আছে শুধু মাটি ও ইটের গুঁড়া।’

 

অন্যদিকে অভিযুক্ত জামাই মোকছেদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আনন্দে মিষ্টি আর মেয়ের জন্য কিছু কাপড় নিয়ে গিয়েছিলাম। এখন বলে বেড়াচ্ছে মাটির প্যাকেট! এগুলো সাজানো ঘটনা।’

 

তিনি বলেন, ‘স্ত্রীকে কখনও নির্যাতন করিনি। বরং আমার সংসারে কেউ ইন্ধন দিচ্ছে।’

 

এ বিষয়ে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে সরাসরি কিছু জানি না, তবে এলাকায় কথাবার্তা শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে সত্যতা যাচাই করা হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন