মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলাভবনের সামনে দুর্ঘটনার শিকার হন রাচি। জানা যায়, তিনি নতুন কলাভবনের সামনের রাস্তা পার হওয়ার সময় রিকশার ধাক্কায় গাছের উপর আছড়ে পড়েন। এতে তার মুখের ম্যান্ডিবল (নিম্ন চোয়াল), কয়েকটি দাঁত ভাঙার পাশাপাশি মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জাবি মেডিকেল সেন্টারে, পরে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ট্রেনে ইট ছোড়ার ঘটনায় তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের দুঃখ প্রকাশ
বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার মাত্র এক মাসের মাথায় আফসানা রাচির এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এ দুর্ঘটনার পর আবারও ক্যাম্পাসে অটোরিকশা বন্ধের দাবি উঠেছে।
এর আগে, ২০২২ সালে সাংবাদিকতা বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী পূজা মজুমদার অটোরিকশা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ওই দুর্ঘটনার পরও অটোরিকশা বন্ধের দাবি তুলেছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা গেছে, জাবির কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী এই অটোরিকশা বাণিজ্যের সাথে জড়িত। এদের মধ্যে ইসলামনগর এলাকায় গ্যারেজ পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু হলের গার্ড ইউনূস এবং গেরুয়ার ঢাল এলাকায় নিরাপত্তা কর্মী হালিম। শোনা যায়, উপ-রেজিস্ট্রার (এস্টেট) মো. আব্দুর রহমান বাবুল এবং কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের তত্বাবধানেও গ্যারেজ পরিচালিত হয়।
]]>