আরবি উচ্চারণ: اِنۡ شَآءَ اللّٰهُ (উচ্চারণ: ইনশাআল্লাহ।) অর্থ: যদি আল্লাহ চান অথবা আল্লাহর ইচ্ছা থাকলে।
ইনশাআল্লাহ শিক্ষা দিয়েছেন আল্লাহ
মহান আল্লাহ নিজেই নবীজিকে ইনশাআল্লাহ বলা শিক্ষা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে একটি প্রসিদ্ধ ঘটনা রয়েছে। একবার ইহুদিরা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি কথা জিজ্ঞাসা করেছিল। আত্মার স্বরূপ কী, গুহার অধিবাসী ও যুল-কারনাইন কে ছিল?
তাদের জিজ্ঞাসার জবাবে নবীজি বললেন, আমি তোমাদেরকে আগামীকাল উত্তর দেব। কিন্তু এর পর ১৫ দিন পর্যন্ত জিবরীল (আ.) ওহি নিয়ে এলেন না। অতঃপর যখন এলেন, তখন মহান আল্লাহ ‘ইনশাআল্লাহ’ বলার নির্দেশ দিলেন।
আরও পড়ুন: যে কারণে ইহুদিদের নাম ‘ইহুদি’ হলো
বুঝাতে চেয়েছেন, ভবিষ্যতে কোনো কাজ করার ইচ্ছে করলে, ‘ইনশাআল্লাহ’ অবশ্যই বলে নিও। কেননা, মানুষ তো জানেই না যে, যা করার সে সংকল্প করে, তা করার তাওফিক সে আল্লাহর ইচ্ছা থেকে পাবে, না পাবে না?
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
وَ لَا تَقُوۡلَنَّ لِشَایۡءٍ اِنِّیۡ فَاعِلٌ ذٰلِكَ غَدًا ﴿ۙ۲۳اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰهُ ۫ وَ اذۡكُرۡ رَّبَّكَ اِذَا نَسِیۡتَ وَ قُلۡ عَسٰۤی اَنۡ یَّهۡدِیَنِ رَبِّیۡ لِاَقۡرَبَ مِنۡ هٰذَا رَشَدًا ﴿۲۴
অর্থ: আর কোন কিছুর ব্যাপারে তুমি মোটেই বলবে না যে, ‘নিশ্চয় আমি তা আগামী কাল করব’ ‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে’ বলা ছাড়া। যদি ভুলে যাও (তবে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে) তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর আর বল, ‘আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে এর চেয়েও সত্যের নিকটবর্তী পথে পরিচালিত করবেন। (কেননা এক ব্যক্তি যেভাবেই সঠিক পথে চলুক না কেন, তার চেয়েও উত্তমভাবে পথ চলা যেতে পারে)। (সুরা কাহাফ, আয়াত: ২৩-২৪)
এখানে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার উম্মতকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতকালে কোনো কাজ করার ওয়াদা বা স্বীকারোক্তি করলে এর সাথে ‘ইনশাআল্লাহ’ বাক্যটি যুক্ত করতে হবে। কেননা, ভবিষ্যতে জীবিত থাকবে কিনা তা কারো জানা নেই। জীবিত থাকলেও কাজটি করতে পারবে কিনা, তারও নিশ্চয়তা নেই।
আরও পড়ুন: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ইহুদিদের যেভাবে অভিসম্পাত করা হয়
কাজেই মুমিনের উচিত মনে মনে এবং মুখে স্বীকারোক্তির মাধ্যমে আল্লাহর উপর ভরসা করা। ভবিষ্যতে কোন কাজ করার কথা বললে এভাবে বলা দরকার, যদি আল্লাহ চান, তবে আমি এ কাজটি আগামীকাল করব। ইনশাআল্লাহ বাক্যের অর্থ তাই।
]]>